
কান ফিল্ম ফেস্টিভালের লাল গালিচায় ভারত তার নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব করে, যার অন্যতম উদাহরণ ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। এ বছর শুধু তাঁর সাজ নয়, পোশাকে বার্তা দিয়েই মন জয় করলেন এবার কোটি-কোটি অনুরাগীর। কালো গাউনের উপর ধূসর ব্রোকেড কেপ। এই পোশাক বানানো হয়েছে বারাণসীর ঐতিহ্যবাহী বস্ত্রশিল্প থেকে, তাতেই খচিত ছিল ভগবৎ গীতার শ্লোক:
“कर्मण्येवाधिकारस्ते मा फलेषु कदाचन।
मा कर्मफलहेतुर्भूर्मा ते सङ्गोऽस्त्वकर्मणि॥”
অর্থাৎ— ‘তোমার অধিকার শুধু কর্মে, ফলের ওপর নয়। ফলের আশা করো না।’
এই কেপ ডিজাইন করেছেন গৌরব গুপ্তা। ঐশ্বর্যের এই লুকে উঠে এসেছে আধ্যাত্মিকতার পরিচয়। তাঁর খোলা ঢেউ খেলানো কালো চুল, গাঢ় লাল লিপস্টিক এবং পিচব্লাশ মেকআপে যেন সৌন্দর্য ফেটে পড়ছে।আরেকটি বিষয়ও এদিন দৃষ্টি আকর্ষণ করে— ঐশ্বর্যের সিঁথিভর্তি সিঁদুর। বহুদিন পর বচ্চন বধূকে এমন পরিপূর্ণ সিঁদুরে দেখা গেল, যা অনেকের মনেই স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেউ তুলনা করেছেন রেখার অনবদ্য সাজের সঙ্গে, কেউ বলছেন—এ যেন অভিষেকের সঙ্গে বিচ্ছেদের গুঞ্জনের যোগ্য জবাব।
ঐশ্বর্যের পাশে এদিন দেখা গিয়েছে তাঁর মেয়ে আরাধ্যাকেও, কালো পোশাকে মা’কে রেড কার্পেটে সাহায্য করতে দেখা গেল তাঁকে। এ যেন শুধু এক অভিনেত্রীর নয়, এক মা, এক স্ত্রীর ছবি। ঐশ্বর্য রেড কার্পেটে মানেই তা নিয়ে চর্চা থাকে তুঙ্গে। কখনও বিতর্ক, কখনও প্রশংসা, তবে বিশ্বসুন্দরীকে নিয়ে চর্চা কোনওদিনই বন্ধ হওয়ার নয়। তিনি পর্দায় থাকুন বা নাই থাকুন, তিনি কোনও মতেই মানুষের হৃদয় থেকে ফিকে হয়ে যাননি।
কান ২০২৫-এ শর্মিলা ঠাকুর, জাহ্নবী কাপুর, কিয়ারা আডবানি, সিমি গেরেওয়ালের মতো অনেকেই ভারতীয় সংস্কৃতি তুলে ধরেছেন পোশাকের মাধ্যমে। এবার অপেক্ষা আলিয়া ভাটের। ইতিমধ্যেই রওনা দিয়েছেন তিনি। এখন দেখার তাঁর পোশাকে কোন চমক লুকিয়ে থাকে।