‘আমার প্রেমিক ছিনিয়ে নিয়েছে’! ঐশ্বর্যকে তুলোধনা করেন মণীষা?
বিতর্ক বরাবরই এড়িয়েই চলতে পছন্দ করেন ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন। ক্যামেরা সামনে বুঝেশুনেই মুখ খুলতে দেখা যায় তাঁকে। কিন্ত কোনও কোনও সময় এ নিয়মেরও ঘটে ব্যতিক্রম। ঠিক যেমন ৩০ বছর আগে ঘটেছিল। মণীষা কৈরালা ও ঐশ্বর্যর সম্পর্ক এতটাই তিক্ততায় পৌঁছয় যে আজও তা নিয়ে হয় আলোচনা।
বিতর্ক বরাবরই এড়িয়েই চলতে পছন্দ করেন ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন। ক্যামেরা সামনে বুঝেশুনেই মুখ খুলতে দেখা যায় তাঁকে। কিন্ত কোনও কোনও সময় এ নিয়মেরও ঘটে ব্যতিক্রম। ঠিক যেমন ৩০ বছর আগে ঘটেছিল। মণীষা কৈরালা ও ঐশ্বর্যর সম্পর্ক এতটাই তিক্ততায় পৌঁছয় যে আজও তা নিয়ে হয় আলোচনা। আজও বলিউডের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যায় নানা কথা। ঘটনার শুরুটা ১৯৯৪ সালে। সবে বিশ্ব সুন্দরীর খেতার জিতেছিলেন ঐশ্বর্য। সে সময় এক প্রথম সারির ম্যাগাজিনে মণীষা কৈরালার এক সাক্ষাৎকার প্রকাশ পায়। সেখানে মণীষা অকপটেই অভিযোগ করেন, তাঁর কাছ থেকে তাঁর তৎকালীন প্রেমিককে কেড়ে নিয়েছেন ঐশ্বর্য। শুরু হয় তীব্র কাদা ছোড়াছুড়ি।
ঘটনার সত্যতা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেন ঐশ্বর্যা। এমনকি সেই ‘প্রেমিক’-এর সঙ্গে দেখাও করেন তিনি। প্রকাশ্যেই বলেন, মণীষার সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ তিনি নন। শুধু কি তাই? মণীষাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতেও ছাড়েন না ঐশ্বর্যা। তিনি বলেন, প্রতি দু’মাস অন্তরই প্রেমিক বদলান মণীষা। শোনা যায়, এই মন্তব্য শোনার পর নিজেকে ঠিক রাখতে পারেননি মণীষা। হাউহাউ করে কেঁদেও ফেলেন তিনি। ঐশ্বর্যকে নিচ মানসিকতার মানুষ বলেও অভিহিত করতে ছাড়েন না তিনি। এমনকি মণীষা দাবি করেন, তাঁর সেই প্রেমিক নাকি ঐশ্বর্যর দেওয়া লাভ লেটার তাঁকে দেখিয়েছে। যদিও ঐশ্বর্য এই অভিযোগ মানতে চাননি। প্রশ্ন হল, যাকে নিয়ে এত দড়ি টানাটানি, সেই পুরুষটি কে? তিনি আর কেউ নন– সুপারমডেল রাজীব মূলচন্দানি। মণীষা কৈরালার সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তিনি। শোনা যায়, ঐশ্বর্য বিরুদ্ধে আনা মণীষার অভিযোগ নাকি পুরোপুরি মিথ্যে নয়। অল্প দিনের জন্য হলেও সত্যি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন রাজীব ও ঐশ্বর্য। মণীষা অথবা ঐশ্বর্য কারও সঙ্গেই সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি রাজীব। তবে সম্পর্ক আজও তিক্ত ঐশ্বর্য ও মণীষার।