তিনি নায়ক। তিনি সুপারস্টার। বলিউডের অ্যাংরি ইয়ং ম্যান নামেই তাঁর পরিচয়। তিনি অমিতাভ বচ্চন। সর্বদা হাসিমুখে নায়ক। ক্যামেরার সামনে তাঁকে এমন ভাবেই দেখে অভ্যস্ত সবাই। কিন্তু তাঁরও যে মন খারাপ হয়। তাঁরও খারাপ লাগে? গলায় ঝরে পড়ে আক্ষেপ? কয়েক দিন আগে ভাইরাল হয়েছে অমিতাভ বচ্চনের এক ভিডিয়ো।
যে ভিডিয়োতে নিজের মনের ঝাঁপি মেলে ধরেছেন নায়ক। রেস্তরাঁয় গেলে আর কেউ এখন ফিরেও তাকায় না তাঁর দিকে— তা নিয়ে বলতেও আর দ্বিধা বোধ করেন না। কোথায় যেন এই চরম সত্যিকেই আপন করে নিয়েছেন অমিতাভ। ঠিক কী বলেছেন তিনি? তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল নিজের ব্যর্থতাকে কীভাবে সামাল দেন তিনি? তাঁর কথায়, “আমি তো দিই না। এগিয়ে যাই। আশা রাখি, কোনও না কোনওদিন কেউ একজন আমার সঙ্গে ছবি বানাতে আসবে।”
তিনি যোগ করেন, “৭০-৮০র দশকে কোনও রেস্তরাঁয় গেলে মানুষজন তাকিয়ে থাকত, কিন্তু এখন আর কেউ ফিরেও তাকায় না। যদি সেই জায়গাতেই দুই সেকেন্ড পর আমির বা শাহরুখ বা সলমন হাজির হয় মানুষজন পাগল হয়ে যায়।” সব সময় কারও সমান যায় না– এই চরম সত্যিটিকেই মেনে নিয়েছেন সুপারস্টার। মেনে নিয়েছেন সবটাই।অমিতাভ এমনটা মনে করলেও ৮০ বছর বয়সে এসেও তাঁর জনপ্রিয়তা কিন্তু এতটুকু কমেনি। আজও তিনি সকলের কাছে একইরকম ভাবে জনপ্রিয়। তাঁর ভক্তসংখ্যা আকাশছোঁয়া। এখনও তাঁকে এক ঝলক দেখার জন্য রবিবার জলসার সামনে ভিড় জমান ভক্তরা।