সোশ্যাল মিডিয়ায় মেয়ের মুখ দেখান না কেন? অঙ্গদ বললেন…

স্বরলিপি ভট্টাচার্য |

Apr 17, 2021 | 2:53 PM

সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অঙ্গদ জানিয়েছেন, তাঁদের মেয়ের এখন দু’বছর বয়স। অনেকেই মেয়ের ছবি দেখতে চান। মেয়ে নিজে পাঁচ-ছয় বছরের হলে হয়তো সেও এই একই প্রশ্ন করবে। কেন তার ছবি কোথাও শেয়ার করেননি তাঁরা?

সোশ্যাল মিডিয়ায় মেয়ের মুখ দেখান না কেন? অঙ্গদ বললেন...
মেয়ের সঙ্গে দম্পতি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে গৃহীত।

Follow Us

নেহা ধুপিয়া (Neha Dhupia) এবং অঙ্গদ বেদি (Angad Bedi)। বলিউডের (bollywood) এই তারকা দম্পতি এক কন্যা সন্তানের (star kid) বাবা-মা। মেয়ের নাম মেহের। কিন্তু জন্মের পর থেকে এখনও পর্যন্ত সোশ্যাল ওয়ালে কন্যার মুখের ছবি শেয়ার করেননি এই জুটি। মেয়ের অনেক ছবি শেয়ার করেছেন বটে। কিন্তু কোথাও এই স্টার কিডের মুখ দেখা যায়নি। এর পিছনে আসল কারণ কী? কেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দম্পতি? এতদিনে প্রকাশ্যে শেয়ার করলেন অঙ্গদ।

সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অঙ্গদ জানিয়েছেন, তাঁদের মেয়ের এখন দু’বছর বয়স। অনেকেই মেয়ের ছবি দেখতে চান। মেয়ে নিজে পাঁচ-ছয় বছরের হলে হয়তো সেও এই একই প্রশ্ন করবে। কেন তার ছবি কোথাও শেয়ার করেননি তাঁরা? অঙ্গদের কথায়, “মেয়ের সুরক্ষার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। ভবিষ্যতে ও যখন বুঝতে শিখবে, নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, তখন যদি ও চায় ওর ছবি প্রকাশ হোক, তখন হবে। কিন্তু এখনও ওর সিদ্ধান্ত নেওয়ার বয়স হয়নি। সে কারণে আমরা ওর অনুমতি ছাড়া ওর ছবি প্রকাশ করতে পারব না।”

অঙ্গদ আরও জানিয়েছেন, তাঁরা দু’জনেই এমন পেশার সঙ্গে যুক্ত যে তাঁদের উপর লাইমলাইট থাকবে সব সময়। ব্যক্তিগত পছন্দেই এই পেশা বেছে নিয়েছেন তাঁরা। স্টার কিড হওয়ার কারণে মেহেরের উপরও লাইমলাইট থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা তার পছন্দ নাও হতে পারে। সেই সিদ্ধান্ত মেহেরকেই নিতে হবে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে যে কোনও ছবি ভুল কারণে ব্যবহার করার প্রবণতাও রয়েছে। সেটাও আটকানো জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

আরও পড়ুন, ইউভান ছাড়াও শুভশ্রীর আনন্দের কারণ অন্য কেউ!

অঙ্গদের কথায়, “আমার পরিবারকে সুরক্ষা দেওয়াটা আমার দায়িত্ব। যতদূর পর্যন্ত সম্ভব মেয়ের ক্ষেত্রে আমি এবং নেহা প্রোটেক্টিভ। ভবিষ্যতে নিজের ছবি শেয়ার করা যদি মেহেরের পছন্দ হয়, আমরা তখন বাধা দেব না। কিন্তু এখন ওর মতামত ছাড়া ছবি শেয়ার করতে পারব না।”

Next Article