
সাতদিন আগেও সকলে স্বপ্ন দেখেছিলেন ধর্মেন্দ্রর ৯০ তম জন্মদিন সেলিব্রেশনের। সেই মতো পরিকল্পনাও করে ফেলেছিল ধর্মেন্দ্রর গোটা পরিবার। সকলেই আশায় বুক বেঁধে ছিলেন তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। আবারও মিরাকেল ঘটবে। তবে নাহ, তাঁকে আর দেখা যায়নি। হাসপাতাল থেকে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিয়োই শেষ। সেখানে দেখা গিয়েছিল গোটা দেওল পরিবার কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। সামনে বেডে তখন অবচেতন ধর্মেন্দ্র। তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সেই বুক ফাটা কান্না দেখে ডুকরে উঠেছিল সকলের মন। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা নিয়ে কেউ মুখ খোলেননি। তবুও, সেই এক ঝলকই যে শেষ দেখা হতে, তা কে জানত?
ফলে শেষ সময় ধর্মেন্দ্রর অবস্থা কী ছিল তা যেন রহস্যই থেকে গেল। তবে খানিক হলেও তাঁর অনুরাগীদের কাছে বিষয়টা স্পষ্ট করলেন পরিচালক অনিল শর্মা। দেওল পরিবারের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন তিনি। মাঝে মধ্যেই দেখা করতে যেতেন। ধর্মেন্দ্রর শেষ ক’দিনে কী অবস্থা ছিল, জানালেন তিনি।
অনিল বললেন, “আমি ওঁর বাড়ি গিয়েছিলাম। সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। চোখে খুলেছিলেন, হাতও নড়ছিল। চিকিৎসকেরা বলেছিলেন ধর্মেন্দ্র ভীষণ শক্ত মানুষ। এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকেরা আস্বস্ত করেছিলেন, ধর্মেন্দ্র সুস্থ হয়ে উঠবেন। হাসপাতালেও দেখে তেমনটাই মনে হয়েছিল। তবে বয়সের ভারে সমস্যা বাড়ছিল। যেটার সঙ্গে লড়াই করা যায় না। প্রত্যেকে আশাবাদী ছিলেন। সকলে ভেবেছিলেন ধর্মেন্দ্রর ৯০ তম জন্মদিন ধূমধাম করে পালন করা হবে।”
তবে সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল। সব চেষ্টা ব্যর্থ করে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন তিনি। থেকে গেল তাঁর কালজয়ী সৃষ্টি, থেকে গেল তাঁর সকল পর্দার চরিত্ররা, যাদের মধ্যে দিয়ে আজীবন থেকে যাবেন সকলের স্বপ্নের হি-ম্যান।