‘আমার অন্নপ্রাশনের ভাত মুখে উঠে এলো…’, কেন বললেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়

অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় ব্যস্ত একাধিক ধারাবাহিকের কাজ নিয়ে। টালিগঞ্জের ইন্দ্রপুরী স্টুডিয়োতে যেমন শুটিং করেন তিনি, তেমনই কবরডাঙা পেরিয়ে ম্যাকনেইল স্টুডিয়োতে তাঁকে পৌঁছাতে হয় 'বুলেট সরোজিনী' ধারাবাহিকের শুটিংয়ের জন্য। ইন্দ্রপুরীতে তিনি 'পরিণীতা' ধারাবাহিকের শুটিং করছেন। ২১ জুন শুটিংয়ে যাওয়ার সময়ে বিরক্তি প্রকাশ করে অনিন্দ্য একটা পোস্ট দেন।

আমার অন্নপ্রাশনের ভাত মুখে উঠে এলো..., কেন বললেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়

| Edited By: Bhaswati Ghosh

Jun 21, 2025 | 12:19 PM

অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় ব্যস্ত একাধিক ধারাবাহিকের কাজ নিয়ে। টালিগঞ্জের ইন্দ্রপুরী স্টুডিয়োতে যেমন শুটিং করেন তিনি, তেমনই কবরডাঙা পেরিয়ে ম্যাকনেইল স্টুডিয়োতে তাঁকে পৌঁছাতে হয় ‘বুলেট সরোজিনী’ ধারাবাহিকের শুটিংয়ের জন্য। ইন্দ্রপুরীতে তিনি ‘পরিণীতা’ ধারাবাহিকের শুটিং করছেন। ২১ জুন শুটিংয়ে যাওয়ার সময়ে বিরক্তি প্রকাশ করে অনিন্দ্য একটা পোস্ট দেন। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ”ভেবেছিলাম টালিগঞ্জ করুণাময়ী থেকে কবরডাঙা হয়ে জোকা অবধি গেলে শর্টকাট হবে । কবরডাঙা অবধি পৌঁছাতেই আমার অন্নপ্রাশনের ভাত মুখে উঠে এলো!”
ম্যাকনেইল বা চিত্রায়ণের মতো স্টুডিয়োতে পৌঁছানোর জন্য কবরডাঙার এই রাস্তা ব্যবহার করলে সুবিধা হয়। কিন্তু সেখানে রাস্তার যা অবস্থা হয়ে রয়েছে, তাতে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের দেরি হচ্ছে। তাঁদের প্রায় নাজেহাল অবস্থা শুটিংয়ে পৌঁছাতে কবরডাঙা হয়ে এমজি রোড ধরে জোকা যেতে। অভিনেতা অনিন্দ্যর বক্তব্য, ”এই রাস্তা ব্যবহার করে স্টুডিয়োতে দ্রুত পৌঁছে যাব ভাবলেও সেটা সম্ভব নয়। বিশেষ করে বর্ষায় রাস্তার অবস্থা বেশ খারাপ। ওই রাস্তায় ঠাকুরপুকুর ক্যান্সার হাসপাতাল রয়েছে। সেখানে যাওয়ার আছে যাঁদের, তাঁরা কতটা সমস্যায় পড়েন ভাবছি। এটা শুধু আমার সমস্যা নয়। ওই এলাকায় যাঁদের নিত্য যাতায়াত সকলের কথা ভেবেই ফেসবুকে পোস্ট করেছি।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিনেতা বললেন, ”এখন ধারাবাহিকের প্রস্তাব পেলে আগে প্রশ্ন করি, কোন স্টুডিয়োতে শুটিং হবে! কারণ কবরডাঙা পেরিয়ে যেসব স্টুডিয়োতে যেতে হয়, সেখানে রোজ যাতায়াত করা যেন কঠিন পরীক্ষা দেওয়ার মতো।” এই পরিস্থিতি সকলের নজরে এলেও, রাস্তার বেহাল দশা কাটবে কিনা, তা দেখার অপেক্ষা।