শহরে ঠাকুমার মৃত্যু, বেড়াতে গিয়ে আটকে অনুষা
অনুষা জানালেন, ''আমি পাহাড়ে রয়েছি। শহর থেকে অনেক দূরে। আজ সকালে ঠাকুমার মৃত্যুর খবর পেয়েছি। খুব অদ্ভুত লাগছে। আমার পরশু শহরে ফেরার কথা। মায়ের সঙ্গে কথা হলো। বলল, পরশু যেরকম শহরে ফেরার কথা সেরকমই ফিরতে। এমনিও মানালি থেকে দিল্লি হয়ে শহরে ফিরতে এক দিন সময় লাগে।''

শুক্রবার পরিচালক অশোক বিশ্বনাথন সোশ্য়াল মিডিয়াতে তাঁর মায়ের মৃত্যুর খবর ভাগ করে নিয়েছেন। এই ঘটনার আগেই বেড়াতে গিয়েছিলেন অনুষা বিশ্বনাথন। তাঁর তিন বন্ধুর সঙ্গে ছবি পোস্ট করেছিলেন অনুষা। সেখানে আদিত্য সেনগুপ্ত ছিলেন অভিনেত্রীর সঙ্গে। আদিত্য আর অনুষা সম্পর্কে রয়েছেন, সে কথা এখন টলিপাড়ার অন্দরে সকলেই জানেন। বন্ধুরা মিলে বেশ মজা করছিলেন, বোঝা যাচ্ছিল। বেড়ানোর বিভিন্ন মুহূর্তে অভিনেত্রী ভাগ করে নিচ্ছিলেন ফেসবুক স্টোরিতে। অনুষা গিয়েছেন হিমাচল প্রদেশে। চরম ঠান্ডার পরিবেশ সেখানে। কলকাতা শহরে যখন চড়া রোদ, তখন এরকম জায়গায় অনুষার বেড়ানো দেখে অনুরাগীদের কেউ-কেউ মন্তব্য করেছেন, চোখের আরাম হচ্ছে। তবে হঠাত্ই খারাপ খবর। প্রয়াত হয়েছেন অনুষার ঠাকুমা। এই ব্যাপারে অভিনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়ে তিনি জানালেন, ”আমি পাহাড়ে রয়েছি। শহর থেকে অনেক দূরে। আজ সকালে ঠাকুমার মৃত্যুর খবর পেয়েছি। খুব অদ্ভুত লাগছে। আমার পরশু শহরে ফেরার কথা। মায়ের সঙ্গে কথা হলো। বলল, পরশু যেরকম শহরে ফেরার কথা সেরকমই ফিরতে। এমনিও মানালি থেকে দিল্লি হয়ে শহরে ফিরতে এক দিন সময় লাগে।” বিশ্বনাথন পরিবারে এই ঘটনা ঘিরে এখন শোকের ছায়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন বিশিষ্টজনের মন্তব্য দেখে বোঝা যাচ্ছে, সকলেই পরিবারের পাশে রয়েছেন।
অনুষাকে মৈনাক ভৌমিক পরিচালিত একটা ছবিতে সম্প্রতি দেখা গিয়েছে। তিনি নিয়মিত বাংলা ছবি করছেন। শহরে ফিরে নতুন কোন শুটিং করবেন, সেই ব্যাপারে অবশ্য কিছু ঘোষণা করেননি অভিনেত্রী।
