AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘অসহায় লাগছে… আমাদের স্মৃতিশক্তি…’, ফের তিলোত্তমাকাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক অরিজিত্‍

Arijit Singh: তিলোত্তমা কাণ্ডের ৯০ দিন পার। এখনও উত্তর মেলেনি। আবারও সরব সঙ্গীতশিল্পী অরিজিত্‍ সিং। তিলোত্তমা কাণ্ডের প্রতিবাদের গানও বাঁধেন গায়ক। তারপর জল অনেকটা গড়িয়েছে। গোটা ব্রিটেন জুড়ে কনসার্ট করতেও দেখা যায় গায়ককে। সেখানে তিলোত্তমা কাণ্ডে তৈরি গান গাইতে বলা হয় অরিজিতকে। রেগে গিয়েছিলেন তিনি। আবারও স্বর তুললেন গায়ক।

'অসহায় লাগছে... আমাদের স্মৃতিশক্তি...', ফের তিলোত্তমাকাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক অরিজিত্‍
| Edited By: | Updated on: Nov 19, 2024 | 4:29 PM
Share

তিলোত্তমা কাণ্ডের ৯০ দিন পার। এখনও উত্তর মেলেনি। আবারও সরব সঙ্গীতশিল্পী অরিজিত্‍ সিং। তিলোত্তমা কাণ্ডের প্রতিবাদের গানও বাঁধেন গায়ক। তারপর জল অনেকটা গড়িয়েছে। গোটা ব্রিটেন জুড়ে কনসার্ট করতেও দেখা যায় গায়ককে। সেখানে তিলোত্তমা কাণ্ডে তৈরি গান গাইতে বলা হয় অরিজিতকে। রেগে গিয়েছিলেন তিনি। আবারও স্বর তুললেন গায়ক। তিলোত্তমা কাণ্ডের পর রাত দখল থেকে মিছিল— এমন অনেক বিদ্রোহের সাক্ষী থেকেছে গোটা শহর। আবারও প্রশ্ন তুললেন গায়ক। নিজের টুইটে লিখলেন তিলোত্তমাকে নিয়ে। অরিজিতের এক্স হ্যান্ডেলের নাম ‘অত্মজোয়ারজ্বালো’। সেই প্রোফাইল কখনও আবার ‘লক’ করে রাখেন তিনি। কখনও আবার সবাই দেখতেপান তাঁর লেখা। এবার তিনি লিখলেন, “তিলোত্তমার বিচার কই?” সেই সঙ্গে তিনি আরও লেখেন, “সব কোথায় গেল? ভুলে গেল নাকি? আমাদের স্মৃতিশক্তি খুব দুর্বল!” এই ঘটনায় তিনি যে খুব বিরক্ত সে কথাও প্রকাশ পেয়েছে তাঁর লেখায়। অরিজিত্‍ লেখেন, “আমার খুব রাগ হচ্ছে। অসহায় লাগছে আমার।”

তিলোত্তমা কাণ্ড প্রসঙ্গেই রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের সঙ্গে পরোক্ষভাবে বচসায় জড়িয়েছিলেন গায়ক। সে সময় অরিজিত্‍ প্রসঙ্গে কুণাল লিখেছিলেন, “অরিজিৎ সিং অপূর্ব গায়ক। ছেলেটিও ভাল। তিলোত্তমার ন্যায়বিচার চেয়ে গানটি যথাযথ। সমর্থন করি। কিন্তু সমস্যা হল বিবেক জাগে শুধু বাংলায়। মহারাষ্ট্রের বদলাপুর নিয়ে হিন্দিতে গান হয় না। বা সাক্ষী মালিকদের নিয়ে। কারণ, ওটা মূল কর্মক্ষেত্র, হিন্দিজগৎ, কাজ, টাকা, কেরিয়ার, তাই চুপ?”এর পরেই নিজের এক্স হ্যান্ডেল ‘আত্মজোয়ার জ্বালো’ থেকে একটি পোস্ট করেন তিনি। তাতে লেখা সেই প্রচলিত বাগধারা, ‘ঠাকুরঘরে কে, আমি তো কলা খাইনি।” কাকে উদ্দেশ্য করলেন তিনি? ‘চোর’ বলে পরোক্ষে কটাক্ষ করলেন কাকে? উঠেছে প্রশ্ন, যদিও কারও নাম নেননি তিনি।

এর আগে তিলোত্তমাকে নিয়ে গান বেঁধে মুখ খুলেছিলেন অরিজিৎ। তিনি বলেন, “২০২৪ সালের ৯ অগস্ট, কলকাতার কেন্দ্রস্থলে ঘটা একটি ট্র্যাজেডি গোটা জাতিকে তার শিকড় থেকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এক তরুণী শিক্ষানবিশ ডাক্তারের নৃশংস গণহত্যা প্রতিবাদের আগুনের ঝড় তুলেছে ভারত জুড়ে। এই গানটি ন্যায়বিচারের জন্য একটি আর্তনাদ, অগণিত নারীদের গলার আওয়াজ, যা নিয়ে তাঁরা ভুক্তভোগী। চলুন আমরা সকলে তিলোত্তমার সাহসিকতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, যে তরুণ ডাক্তার মারা গিয়েছেন, যিনি নির্ভয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন। লিঙ্গ-ভিত্তিক বৈষম্য নিয়ে মহিলারা যে লড়াই করে চলেছেন, তার হয়ে গলা তুলি আমরা। আমাদের এই গান, সারা দেশের ডাক্তারদের কণ্ঠস্বর, যারা বিপদের সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও অক্লান্তভাবে সেবা করে। এটি কেবল একটি প্রতিবাদী গান নয়- এটি একটি ডাক যে, মহিলাদের সুরক্ষা এবং মর্যাদার জন্য আমাদের লড়াই এখনও শেষ হয়নি।”