
১০মে শহরে ‘গার্ডেন বরেলি নিবেদিত মাই নেম ইজ জান’ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে জি ডি বিড়লা সভাঘরে একের পর এক শো হাউজফুল হয়েছে। দর্শকের তরফে ক্রমাগত অনুরোধ এসেছে, এই শো ফিরিয়ে আনার জন্য। এবার কলা মন্দির-এর ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশবে গওহর জানের গান। গওহর জানের জীবনকে ভিত্তি করে নাটক ‘গার্ডেন বরেলি নিবেদিত মাই নেম ইজ জান’। পটভূমিকায় অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। ‘স্টুডিয়ো নাইন’-এর উদ্যোগে ২৫ অক্টোবর মুম্বইয়ের বাল গান্ধর্ব রঙ্গ মন্দির অডিটোরিয়ামে এই বছরের প্রথম শো মঞ্চস্থ হয়। উপস্থিত ছিলেন বলিউড তারকা অনুপম খের, টিভিনাইন নেটওয়ার্কের এমডি ও সিইও বরুণ দাস, অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত-সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। শুধু মুম্বই নয়, কলকাতা-সহ একাধিক শহরে মন কেড়েছে চলেছে অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের ‘গার্ডেন বরেলি নিবেদিত মাই নেম ইজ জান’।
দর্শক আসনে বসে পুরো অনুষ্ঠানটা দেখেন প্রবাদপ্রতিম অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বললেন, ”আমি সবার আগে শুভেচ্ছা জানাব, আর অনেক আশীর্বাদ করব অর্পিতাকে। এই নাটকের যিনি ‘জান’, তাঁকে অনেক অভিনন্দন। এই বিষয়ে শুনেছিলাম, কিন্তু এই শো’টা যে এতটা ভাল হয়েছে ভাবতে পারিনি। কথায় আছে ‘ওয়ান ম্যান আর্মি’, এক জওয়ানই যুদ্ধ জিতে নিতে পারেন। সেটাই আজ অর্পিতা আরও একবার সকলের সামনে প্রমাণ করলেন। আমি এই নাটকের সকল কলাকুশলীদের শুভেচ্ছা জানাতে চাই। আমার কেরিয়ার শুরু নাটক থেকেই। তাই আমি জানি, মঞ্চের পিছনে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁরা কত বড় শক্তি। আমি আপনাদেরও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। TV9-এর বরুণকেও শুভেচ্ছা জানাই। এই ‘ওয়ান ম্যান আর্মি’কে নিয়ে বরুণ যে বিশ্বভ্রমণে (গওহর জান শো ট্যুর) যাচ্ছেন, সেই প্রসঙ্গে আমি একটা কথাই বলতে চাই– বিজয়ী ভব। বিশ্বজয় করতে চলেছেন, বিশ্বজিৎ যাচ্ছেন না, তবে অর্পিতা যাচ্ছেন হাতে দেশের পতাকা নিয়ে। ভারতের নাম উজ্জ্বল করে ফিরুক, আমি এটাই প্রার্থনা করব ঈশ্বরের কাছে। তখন অর্পিতার বিয়ে হয়নি, প্রথম বাংলা ছবি করল ‘অনুপমা’, তখন থেকেই আমি ওকে চিনি। এর কিছুদিন পর ও আমাদের চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সদস্য হয়ে গেল। ফলে বিয়ের আগে থেকেই আমি ওকে চিনি। তবে যে প্রতিভা আজ আমি ওর মধ্যে দেখেছি, তা আগে দেখিনি। এই যে TV9 বাংলা ওর প্রতিভাকে এভাবে সকলের সামনে তুলে এনেছে, এর জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমি আগে কখনও এভাবে ওকে দেখিনি। গহওর জান, ওঁর বিষয় আমি বেশি তথ্য জানতাম না, আজ জানলাম। আমি আমার জীবনের প্রথম বাংলা গান লন্ডনে গিয়ে রেকর্ড করেছিলাম। তখন এইচএমভি-র রাজত্ব। সেই এইচএমভি-র প্রথম রেকর্ড গওহর জানের ছিল। আজ গওহর জানের জীবন সম্পর্ক আমি জানতে পারলাম। নাটক দেখতে-দেখতে এতটাই নিমজ্জিত হয়ে গিয়েছিলাম যে মাঝে মধ্যে করতালি দিয়ে উঠেছি। অর্পিতার মধ্যে কত গুণ রয়েছে, কত প্রতিভা রয়েছে, আজ সেটা দুনিয়া দেখছে। আপনারা সকলে ওর জন্য প্রার্থনা করুন, আশীর্বাদ করুন। গোটা টিমকে ধন্যবাদ জানাই, আর দর্শক, যাঁদের জন্য আমরা, তাঁদের প্রণাম।”
কলকাতা আরও একবার সেই মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে চলেছে। প্রসঙ্গত, কেন ‘গওহর জান’-এর জীবনীই বেছে নিলেন অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়? সেই কারণ নিজেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। সেই ভিডিয়ো নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন অর্পিতা। “এই বিষয়টি আমি বেছে নিইনি। অবন্তী (চক্রবর্তী) এবং এই প্রোডাকশনের যিনি সৃজনশীল প্রযোজক তাঁরা দু’জনে মিলে ভেবেছিলেন গওহর জানের কথা। মঞ্চে অভিনয় করার ইচ্ছা আমার বরাবরই ছিল। ‘নটীর পূজা’ নাটকটি আমি করেছি ‘স্বপ্নসন্ধানী’র সঙ্গে। তারপর মঞ্চে অভিনয় করার ইচ্ছাটা আরও বেড়ে যায়। অভিনয়ের একটা অসাধারণ মাধ্যম মঞ্চ। অভিনেত্রী হিসাবে আমার মনে হয় প্রতিটি অভিনেতার একবার মঞ্চে অভিনয় করা উচিত ভাল অভিনেতা হিসাবে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য। তাই ইচ্ছাটা বরাবরই ছিল। তার পরেই অবন্তীর সঙ্গে যোগাযোগ হয়। ও বলেছিল, ”তুমি তো গানও গাইতে পারো।” তার পরেই নানা আলোচনা চলে এবং তৈরি হয় ‘গার্ডেন বরেলি মাই নেম ইজ জান’।” শহরে চিরঞ্জিত চক্রবর্তী থেকে রূপম ইসলাম, বিক্রম ঘোষ থেকে জয় গোস্বামী, সকলে এই শো দেখে মুগ্ধ। আপনি তৈরি তো পরবর্তী শো দেখার জন্য? আগামী বছরের মধ্যে ভারতের বিভিন্ন শহরজুড়ে ১২টা শো হবে এই নাটকের।