
অমিতাভ বচ্চন আর বিধু বিনোদ চোপড়া একসঙ্গে কাজ করেছিলেন ‘একলব্য: দ্য রয়্যাল গার্ড’ ছবিতে। তবে তাঁরা প্রথমবার দেখা করেছিলেন তার অনেক আগেই, ১৯৭৭ সালে, হৃষিকেশ মুখার্জির ছবি ‘আলাপ’–এর সেটে। ওই ছবিতে অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে ছিলেন রেখা। সেই সময় বিধু চোপড়া সেটে গিয়েছিলেন বচ্চনকে তাঁর তৈরি প্রথম ছবি দেখানোর জন্য। একটি প্রাইভেট স্ক্রিনিং-এর আয়োজন করা হয়েছিল। এক সাক্ষাৎকারে নিজের প্রথম অমিতাভ-সাক্ষাতের কথা স্মরণ করেছিলেন চোপড়া।
‘পরিণীতা’ খ্যাত এই পরিচালক বলেন, “আমি সবাইকে জানিয়েছিলাম, বিকেল ৫টা পর্যন্ত হল বুক করা আছে, তার মধ্যেই ছবি দেখাতে হবে। তখন অমিতাভ, হৃষিদা আর রেখা সবাই শুটিংয়ে ব্যস্ত, আর আমি দেখি ওঁদের মধ্যে কিছু তর্ক হচ্ছে।”
তরুণ পরিচালক তখন চিন্তিত হয়ে পড়েন—হয়তো স্ক্রিনিং আর সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, “বিকেল ৪টার দিকে আমার মনে হচ্ছিল, উনি আর সময় পাবেন না। আমি একটু পরে বেরিয়ে গিয়ে বাইরে বসেছিলাম। হঠাৎ একটা হাত আমার কাঁধে পড়ল—অমিতাভ বচ্চন। উনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার ৫টা পর্যন্ত বুকিং আছে? চল, যাই।’”
তবে হলে ঢোকার আগে বচ্চনের একটাই অনুরোধ ছিল। চোপড়া জানান, “তিনি জানতে চাইলেন, সঙ্গে একজন বন্ধুকে আনতে পারবেন কি না, আর সেই বন্ধু ছিলেন রেখা। আগের ঝামেলা নিয়ে উনি অবশ্য একটু বিরক্ত ছিলেন।”
অবিশ্বাস্যভাবে, ছবিটি দেখার পর বচ্চন এতটাই মুগ্ধ হন যে সঙ্গে সঙ্গেই চোপড়ার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু ভাগ্যের অন্য পরিকল্পনা ছিল। ঠিক সেই সময় দূরদর্শন চোপড়াকে একটি প্রোজেক্টের জন্য ৫,০০০ টাকা অফার করে, সঙ্গে ছিল একজন চালকসহ গাড়িও। তরুণ নির্মাতা এক মুহূর্তও না ভেবে সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন। চোপড়া বলেন, “আমি ‘শোলে’-র নায়কের প্রস্তাব ফেলে দিয়ে সেই সুযোগটাই নিয়েছিলাম।”