
বলিউড অভিনেত্রী উর্বশী রাউটেলা এখন বিতর্কের কেন্দ্রে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমন এক মন্তব্য করে বসেন, যা ঘিরে রীতিমত ট্রোলের শিকার হতে হচ্ছে তাঁকে। সিদ্ধার্থ কাননকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উর্বশী দাবি করেন, বদ্রীনাথ ধামের কাছে অবস্থিত একটি মন্দির নাকি তাঁর নামে উৎসর্গ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “উত্তরাখণ্ডে আমার নামে একটি মন্দির আছে। বদ্রীনাথ মন্দির থেকে এক কিলোমিটার দূরেই অবস্থিত। কিছুটা গেলে পাশেই ‘উর্বশী মন্দির’ দেখতে পাবেন।” মন্তব্য শুনে সিদ্ধার্থ তাঁকে বারবার প্রশ্ন করেন, এটা সত্যি তাঁর নামে তৈরি মন্দির? মানুষ সেখানে গিয়ে উর্বশী রাউটেলার পায়ে মাথা ঠোকেন? তিনি আরও বলেন, “যেহেতু মন্দির, মানুষ তো প্রার্থনাই করবে।” শুধু তাই নয়, তিনি এও দাবি করেন যে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা তাঁর ছবিতে মালা দেয়।
উর্বশীর এই মন্তব্যে চরম আপত্তি জানিয়েছেন বদ্রীনাথ ধামের প্রাক্তন এক কর্মী ভুবন চন্দ্র উনিয়াল। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, “এই বক্তব্য পুরোপুরি ভুল ও বিভ্রান্তিকর।” তাঁর দাবি, উক্ত মন্দিরটি হিন্দু পুরাণের দেবী উর্বশীর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়েছে, যিনি দেবী অপ্সরা। এটি এক প্রাচীন শক্তিপীঠ, এবং উর্বশী রাউটেলার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি সরকারের কাছে অনুরোধ করেন, এমন ‘মিথ্যা ও অবমাননাকর’ দাবির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
অন্যদিকে ব্রহ্ম কপাল তীর্থ পুরোহিত সংঘের সভাপতি অমিত সতি-সহ পাণ্ডু্কেশ্বর ও বামনি গ্রামের বহু স্থানীয় বাসিন্দা উর্বশীর মন্তব্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, এই মন্দির শুধু পুরাণ নয়, স্থানীয় সংস্কৃতি ও ধর্মবিশ্বাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। অভিনেত্রীর এমন দাবি স্থানীয়দের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হেনেছে। উত্তরাখণ্ডের এক গ্রামবাসী রামনারায়ণ ভাণ্ডারী বলেন, “এমন একটি পবিত্র স্থানকে ঘিরে কেউ নিজের নাম জুড়ে এমন দাবি করতে পারেন না। এটি অত্যন্ত অসম্মানজনক।”
যদিও উর্বশী রাউটেলা এখনও পর্যন্ত এই বিতর্ক নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি, তবে বিষয়টি ঘিরে উত্তরাখণ্ডের ধর্মীয় মহলে যে প্রবল অসন্তোষ তৈরি হয়েছে, তা বলাই বাহুল্য।