হাসিনার পতনের পরেই ‘নিখোঁজ’ ঘনিষ্ঠ ফেরদৌস! অবশেষে কোথায় খোঁজ মিলল তাঁর?
বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই শুরু হয়েছে অরাজকতা। বাংলাদেশে গ্রেফতার হচ্ছেন হাসিনার দলের একের পর এক নেতা, প্রাক্তন মন্ত্রীরা।
এই মাসেরই ৫ তারিখ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়েন শেখ হাসিনা। আশ্রয় নেন ভারতে। হাসিনা সরকারের পতনের পর খোঁজ মিলছিল না আওয়ামী লীগ সদস্য ও প্রাক্তন সংসদ সদস্য ছিলেন অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদের! কোথায় তিনি? উঠেছিল নানা প্রশ্ন। এও রটে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের বাড়িতে নাকি আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। এতদিনের নীরবতার পর অবশেষে খোঁজ মিলল তাঁর। তিনি কোথায় তা কেউ জানেন না! তবে এল বার্তা। ২০ অগস্ট বাংলাদেশের শিল্পীদের এক হওয়ার ডাক দিয়ে একটি পোস্ট করেন। তার পর ২১ অগস্ট আবারও একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন তিনি। যেখানে আওয়ামি লিগের উত্থান নিয়ে এক বার্তা দেন তিনি। এর পরেই তাঁর ভক্তরা কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছেন। তিনি যে সুস্থ আছেন তা জানতে পেরে খানিক নিশ্চিন্ত তাঁরা।
বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই শুরু হয়েছে অরাজকতা। বাংলাদেশে গ্রেফতার হচ্ছেন হাসিনার দলের একের পর এক নেতা, প্রাক্তন মন্ত্রীরা। কিছুদিন আগেই সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছিলেন দীপু মণি। হাসিনা মন্ত্রিসভার সমাজকল্যাণ, বিদেশ ও শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী ছিলেন দীপু। শুধু তাই নয়, দলেরও এক গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন তিনি।
এর আগে, ১৩ অগস্ট প্রাক্তন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সলমন এফ রহমানকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ। কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন ঢাকা কলেজের সামনে সংঘর্ষে এক হকারের মৃত্যুর ঘটনার জন্য তাদের দায়ী করা হয়েছে। ১৪ অগস্ট গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, প্রাক্তন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহ্মেদ পলক এবং ছাত্রলিগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে।