
তাঁর বয়স কত কেউ জানেন না। তবে অনেকগুলো বছর ধরে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে দাপিয়ে অভিনয় করছেন এই অভিনেত্রী। তাঁর মতো ফিগারের অধিকারিণী হওয়ার বাসনা রয়েছে প্রত্যেকের মনেই। কেবল তো চেহারা কিংবা অভিনয় নয়। এই রমণী অসাধারণ ভাল নৃত্যশিল্পীও। তিনি কে বলুন তো? অভিনেত্রী মোনামী ঘোষ। মনামীকে চেনেন না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। খুবই অল্প বয়সে অভিনয় জগতে পা রেখেছিলেন মনামী। ছোট থেকেই ছড়িয়ে পড়েছিল তাঁর খ্যাতি। বিয়ে করেননি। নিজের মতোই থাকেন। ঘুরে বেড়ান দেশ-বিদেশ। অভিনয় এবং নাচ তো আছেই। কিন্তু সম্প্রতি মনামীকে খোঁটা শুনতে হয়েছে বয়সের কারণে। নেটপাড়ার এক নিন্দুক তাঁকে সরাসরি ‘আন্টি’ বলে বসেন। এমন সম্বোধন মনামীর ক্ষেত্রে সত্যি কি মানা যায়?
ঠিক কী ঘটেছে জানেন? সাদা রঙের একটি ক্রপটপ পরে পাহাড়ের বুকে ফটো তুলেছেন মনামী ঘোষ। মুখে নাম মাত্র মেকআপ। সেটাকে নো মেকআপই বলা যায়। খোলা চুলে, উন্মুক্ত কোমরে, দুর্দান্ত কিছু ছবি পোস্ট করেছেন মনামী ঘোষ। এই ছবিগুলিতে তাঁর মনমোহিনী রূপ আরও ফুটে উঠেছে। তিনি যে প্রকৃত সুন্দরী, সেই প্রমাণ এই ছবিগুলিই। কিন্তু সেই ছবির কমেন্ট বক্সে কিছু লোকে কমেন্ট করে বসেছেন, “দিদির বয়সের ছাপ স্পষ্ট।” একজন নিন্দুক লিখেছেন, “এই জন্যই আন্টিকে ভাল লাগে।”
কিন্তু নিন্দার মাঝেও যে আছেন প্রশংসা। এবং সেই প্রশংসাই আসল প্রাপ্তি মনামীর। অনেকেই অভিনেত্রীকে ভরিয়ে দিয়েছেন ভালবাসায়। তাঁর সুন্দর-সুন্দর ছবি দেখে সকলে মোহিত হয়ে উঠেছেন। বলেছেন, “কত সুন্দর। আপনার মতো সুন্দরী আর হয় না।”
মনামীকে টেলিভিশনের পর্দায় শেষবার দেখা গিয়েছিল ‘ইরাবতীর চুপকথা’ সিরিয়ালে। সেখানে দিন দুঃখিনী বড়দিদির চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন মনামী। তাঁকে ফের দেখা যায় বেশকিছু সিনেমায়। উইন্ডোজ় প্রযোজনা সংস্থার প্রত্যেকটি ছবিতেই থাকে তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি। গত পুজোতে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘রক্তবীজ’ ছবিও তাঁর একটি অসাধারণ নাচ ছিল।
এত সুন্দর শরীর, এত সুন্দর চেহারা মনামীর, তাঁর ডায়েটে কী থাকে জানেন। ঘি। মেপে খাবার খেলেও মনামী প্রত্যেকদিন খাবারে পাতে এক চামচ ঘি তুলে নেন। মনামী বলেছিলেন, “আমার ডায়েটে ঘি থাকেই। কেন না এটাই আমার গ্ল্যামারের সিক্রেট।”