Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

শ্রীলেখা মিত্র রাত জাগেননি, তাও দূরন্ত রেজ়াল্ট

Sreelekha Mitra: যে কাজের জন্য অনেকেই রাত জাগেন, শ্রীলেখা কোনওদিনও জাগেননি। তিনি ঘুমিয়ে পড়তেন। দুশ্চিন্তায় জীবন কাটানো এক্কেবারেই না-পসন্দ এই অভিনেত্রীর। ঠিক কীসের কথা হচ্ছে বলুন তো? বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিতভাবে TV9 বাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন শ্রীলেখা।

শ্রীলেখা মিত্র রাত জাগেননি, তাও দূরন্ত রেজ়াল্ট
শ্রীলেখা মিত্র।
Follow Us:
| Updated on: May 20, 2024 | 6:00 PM

অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। এখন দক্ষিণ কলকাতায় থাকেন। কিন্তু তিনি উত্তর কলকাতার দমদমের মেয়ে। অগজ়িলিয়াম কনভেন্ট স্কুলে পড়তেন। ছোট থেকেই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রচণ্ড প্রিয় ছাত্রী ছিলেন অভিনেত্রী। সবসময় যে লেখাপড়ায় ভাল ফল করতেন, তা কিন্তু নয়। তবে নাচে-গানে, অন্যান্য ক্যারিকুলার অ্যাক্টিভিটির কারণে মেতে থাকতেন ভীষণ। স্কুলজীবনে অভিনেত্রীর অজানা কিছু ঘটনার কথা TV9 বাংলার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন শ্রীলেখা। বিশেষ করে লেখাপড়ায় কতখানি মন দিতেন…

লেখাপড়ায় ভালই ছিলেন শ্রীলেখা। কিন্তু কোনওদিনও বাড়াবাড়ি রকমের সিরিয়াস ছিলেন না। বলেছিলেন, “আমি কিন্তু সিরিয়াস ছিলাম না মাত্রাতিরিক্ত। অল্প পড়তাম, মাথা পরিষ্কার ছিল। উচ্চমাধ্যমিক স্তরে সায়েন্স নিয়েছিলাম। আমার বন্ধুবান্ধবরা রাত জেগে পড়ত। আমার অবাক লাগত। নিজেকে প্রশ্ন করতাম। ওরা এত কী পড়ে…”

তারপরই শ্রীলেখা ব্যক্ত করেছিলেন কিছু কথা। স্কুলের পরীক্ষার সময় হলে গিয়ে দেখতেন, সক্কলের চোখ-মুখ ছোট হয়ে গিয়েছে। চোখের তলায় কালিও পড়েছে কারও-কারও। ভাবতেন, এত কীসের দুশ্চিন্তা। অভিনেত্রীর স্বীকারোক্তি, “আমি কোনওদিনও রাত জেগে পড়িনি। আমার সহপাঠী এবং বন্ধুরা সক্কলে রাত জাগত। আমি বুঝেই উঠতে পারতাম না, পরীক্ষার আগের দিন কীসের এত পড়া।”

শ্রীলেখা সারা বছর পড়তেন এবং তিনি পড়ার বইয়ের ফাঁকে গল্পের বই পড়তেন। অনেক অল্প বয়সেই বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রাপ্তবয়স্ক উপন্যাস পড়ে ফেলেছিলেন। সেই শ্রীলেখাই আইসিএসসিতে ৮০ শতাংশেরও বেশি নম্বর পেয়ে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় সেকেন্ড ডিভিশন পেয়েছিলেন। বলেছিলেন, “ক্লাস টুয়েলভে উঠে আমার ডানা জগিয়েছিল। একটি প্রেম করেছিলাম। তারপর নাচ- গান নিয়ে মেতে উঠেছিলাম। আমার স্কুলের জীবনটা আসলে গোল্ডেন পিরিয়ড। কোথায় যে আমাকে পাঠিয়ে দিলেন! একটা স্বর্ণালি সময়।”