অনস্ক্রিন ও অফস্ক্রিন দু’জায়গাতেই নজর কেড়েছিল তাঁদের রসায়ন। দর্শককে ‘ম্যায় খিলাড়ি তু আনাড়ি’,’খিলাড়িও কা খিলাড়ি’-এর মতো দুর্দান্ত সব ছবি উপহার দিয়েছেন অক্ষয় কুমার (Akshay Kumar) ও রবীনা টন্ডন (Raveena Tandon)। পর্দার সেই প্রেম গড়িয়েছিল বাস্তবেও। একসঙ্গে জীবন কাটানোর পরিকল্পনা করে ফেলেছিলেন তাঁরা। সেই মতো সারা হয়ে গিয়েছিল বাগদান (Engagement) পর্বও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভাগ্য সঙ্গ দেয়নি। ফলে বিচ্ছেদ হয়। তবে প্রাক্তন প্রেমিক অক্ষয়কে ভাল বন্ধু বলেই দাবি রবীনার। এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রীর কথায়, “সবার যাত্রাকে শ্রদ্ধা করা উচিত”। আর কী বলছেন অভিনেত্রী?
সম্প্রতি মুম্বইয়ের এক অ্যাওয়ার্ড শো-এর মঞ্চে অক্ষয়কে জড়িয়ে ধরতে দেখা গিয়েছিল রবীনাকে। সেই নিয়ে আলোচনা কম হয়নি। এরপরই এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন রবীনা। সম্প্রতি ইটাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, তিনি এবং অক্ষয় এখনও খুব ভাল বন্ধু। এটা একটা যাত্রা যার মধ্য দিয়ে কমবেশি সবাইকেই যেতে হয়। প্রত্যেকের, প্রত্যেকের যাত্রাকে সম্মান করা উচিত। এবং মুভ অন করা উচিত। এখানেই শেষ নয়, রবীনার কথায়,”অক্ষয় আমাদের ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম শক্তিশালী স্তম্ভ।” ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকের সঙ্গেই কাজ করতে ভালবাসেন রবিনা। তাঁর কথায়, “আমি নানা পাটেকারের সঙ্গে কাজ করতে ভালবাসি। নাসিরউদ্দিন শাহ-এর সঙ্গেই কাজ করার ভাল অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার। নাগা চৈতন্য আর আমি খুব ভাল বন্ধু। শুধু তাই নয়, প্রভাস বলে আমি নাকি ওঁর ক্রাশ।”
চলতি বছরের প্রথমে এএনআই কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, ‘মহরা’-এর সময় আমি ও অক্ষয় সেরা জুটি ছিলাম। এখনও যখন আমরা প্রকাশ্যে আসি কথা বলি, তা নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেন। সবাই একটা সময়ের পর মুভ অন করেন। অনেক মেয়েরা কলেজে থাকাকালীন প্রত্যেক সপ্তাহে প্রেমিক পরিবর্তন করেষ লোকের বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়। তাঁরাও মুভ অন করেন। জানিনা আমার এই একটা বিচ্ছেদ নিয়েই কেন এত কথা হয়।” রবীনার কথায় স্পষ্ট এই ধরনের আলোচনাকে মোটেই ভালভালে নেন না তিনি। প্রসঙ্গত, অক্ষয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পর ২০০৪ সালে অনীল থাডানিকে বিয়ে করেন রবীনা। অন্যদিকে টুইঙ্কেল খান্নাকে বিয়ে করেন অক্ষয়।