অনুরাগের বিরুদ্ধে ওঠা ‘মিটু’ অভিযোগ কী ভাবে সামলেছিলেন আলিয়া?

Aaliyah Kashyap: সেপ্টেম্বর, ২০২০। অভিনেত্রী পায়েল ঘোষ অনুরাগের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন। অর্থাৎ ‘মিটু’-র অভিযোগে অভিযুক্ত হন অনুরাগ।

অনুরাগের বিরুদ্ধে ওঠা ‘মিটু’ অভিযোগ কী ভাবে সামলেছিলেন আলিয়া?
আলিয়া এবং অনুরাগ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 22, 2021 | 9:23 AM

একমাত্র মেয়ে আলিয়া কাশ্যপের সঙ্গে বলিউডের পরিচালক তথা প্রযোজক অনুরাগ কাশ্যপের সম্পর্কটা বন্ধুত্বের। বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান, যৌনতা, বয়ফ্রেন্ড, মন খারাপ- সব কিছুই বাবার সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন আলিয়া। এ হেন বাবার দিকে যখন কেউ আঙুল তোলেন, তখন তা মেয়ে হিসেবে কী ভাবে সামলান আলিয়া?

সেপ্টেম্বর, ২০২০। অভিনেত্রী পায়েল ঘোষ অনুরাগের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন। অর্থাৎ ‘মিটু’-র অভিযোগে অভিযুক্ত হন অনুরাগ। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন তিনি। কিন্তু মেয়ে হিসেবে ওই ঘটনা আলিয়ার উপর কতটা প্রভাব ফেলেছিল? সদ্য এক সাক্ষাৎকারে শেয়ার করেছেন অনুরাগ কন্যা।

আলিয়ার কথায়, “বাবার বিরুদ্ধে ওঠা ‘মিটু’-র অভিযোগে আমি যথেষ্ট বিরক্ত, বিব্রত হয়েছিলাম। কারণ আমার মনে হয়েছিল, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই চরিত্রের ঠিক ব্যখ্যা হচ্ছে না। লোকে হয়তো ভাবে, বাবা ভয়ানক একজন লোক। কিন্তু আমার পরিচিত কাউকে জিজ্ঞেস করুন, তারা বলবে বাবা একটা বড়, সফট, টেডি বিয়ার ছাড়া আর কিছুই নয়।”

ওই ঘটনায় অনেক বেশি উদ্বিগ্ন হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন আলিয়া। যদিও গোটা বিষয় থেকে তাঁকে যতটা দূরে রাখা সম্ভব, সে চেষ্টা করেছিলেন অনুরাগ। আলিয়ার কথায়, “আমি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি, তা বাবা চায়নি।”

চলতি বছরের ফাদার্স ডে-তে অনুরাগকে নিয়ে একটি ভিডিয়ো তৈরি করেছিলেন আলিয়া। সেখানে তিনি প্রশ্ন করেন, বিয়ের আগে যৌন সম্পর্ক তৈরি হওয়া কি উচিত বলে মনে করেন অনুরাগ? আলিয়ার এই প্রশ্নের উত্তরে পরিচালক বলেন, “এই প্রশ্নটা আমরা ৮০-র দশকে করতাম। এখন আমরা অনেকটা এগিয়ে গিয়েছি। আমি তো বলব, নিজের শরীর এবং যৌনতা বিষয়টা আগে বুঝতে হবে। চাপে পড়ে কিছু করে ফেলা না জেনে, ঠিক নয়। তবে একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর যৌন সম্পর্ক তৈরি হওয়া ভাল। সুরক্ষিত থাকাটা আসল। যখন কেউ মনে করবে, যৌন সম্পর্ক তৈরি করতে চায়, তখন করা উচিত। এটা তো স্পেশ্যাল।”

আলিয়া যদি বাবার কাছে এসে এখন বলেন, তিনি সন্তানসম্ভবা, মেনে নেবেন অনুরাগ? হাসতে হাসতে বাবা জবাব দেন, “আমি প্রথমেই জানতে চাইব, তুমি সন্তান রাখতে চাইবে কি না। তোমার সিদ্ধান্তই শেষ কথা। কারণ যে কাজই করবে, তার ভাল, মন্দের ভাগ তোমারই। বাকি তো শেষ পর্যন্ত আমি তোমার সঙ্গে থাকব, সেটা তুমি জানো।”

আরও পড়ুন, প্রিয়মণির ব্যক্তি জীবনে বিপর্যয়, বিয়ে অবৈধ, দাবি স্বামীর প্রথমা স্ত্রীর!