সুখী দাম্পত্যের মূলমন্ত্র কী? এর উত্তর দিতে যথেষ্ট বেগই পেতে হয় অধিকাংশ বিবাহিত কাপলকে। তবে এই প্রশ্নের এক সহজ উত্তর দিলেন অভিনেত্রী শাবানা আজ়মি ( Shabana Azmi)। বললেন, ‘বন্ধুত্ব।’ এই একটা শব্দই নাকি যথেষ্ট। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে স্বামী জাভেদ আখতারের (Javed Akhtar)সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সমীকরণের কথা খোলামেলা আলোচনা করেছেন তিনি। সেই কথোপকথন এতটাই খোলামেলা ছিল যে, শাবানা নির্দ্বিধায় শেয়ার করেছেন এক ভয়াবহ স্মৃতিও: জাভেদের সঙ্গে তাঁর ঝগড়া এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল যে, পারলে একে-অপরকে খুন পর্যন্ত করতে পারতেন তাঁরা। অকপটে এ কথা বলেছেন শাবানা ওই সাক্ষাৎকারে। দাম্পত্য জীবন সম্পর্কে আর কী বলছেন শাবানা?
প্রায় চার দশক ধরে একে-অপরের হাত ধরে দিব্যি হেঁটে চলেছেন চিত্রনাট্যকর-গীতিকার জাভেদ আখতার এবং অভিনেত্রী শাবানা আজমি। তাঁদের সুখী দাম্পত্যের ইউএসপি কী? নিজের মুখেই জানিয়েছেন শাবানা। তাঁর কথায়, “আর পাঁচটা দম্পতির মতো আমাদেরও ঝগড়া হয়। কখনও-কখনও তো ঝগড়া এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, একে-অপরকে খুন পর্যন্ত করে ফেলতে ইচ্ছে হয়েছে। তবে শেষে সবটা সামলে দেয় আমাদের একে-অন্যের সঙ্গে বোঝাপড়া। আমরা দু’জনে একে-অপরকে সব থেকে ভাল বুঝি।” একটা সম্পর্কে এই জিনিসটাই বোধহয় সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা দু’জনেই কবি পরিবারের সন্তান। তাঁদের জীবন-দর্শনও কোথাও গিয়ে এক। দু’জনেই মার্কসীয় ভাবধারায় বিশ্বাসী। এসবই জীবনযুদ্ধে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে তাঁদের। সবার আগে তাঁরা খুব ভাল বন্ধু। তারপর তাঁরা একে-অপরের স্বামী-স্ত্রী, এবং তারপর বাবা-মা। আর এটাই তাঁদের সম্পর্কের মূল চাবিকাঠি, এমনটাই স্পষ্ট শাবানার কথায়।
ঝগড়ার পর কী করে সামলে ওঠেন? এই প্রশ্নের উত্তরে শাবানা বলেন, “সহজ নিয়ম। একজন চুপ করে গিয়ে অন্যজনকে থামতে বলি।” শুধু তাই-ই নয়, বন্ধুত্বের পাশাপাশি একে-অপরের প্রতি সম্মানকেও সমানভাবে গুরুত্ব দেন এই শিল্পী দম্পতি। শাবানার কথায়, “বন্ধুত্বে যে জিনিসটাকে আরও গুরুত্ব দিই, সেটা হল সম্মান। ভালবাসা, বন্ধুত্ব—এসবের একটাই শর্ত, সেটা হল সম্মান। সঙ্গীকে স্পেস দিতে হয়। কারণ সব মানুষের নিজস্ব স্পেসের প্রয়োজন হয়।” জাভেদ আখতারকেও মাঝেমধ্যেই বলতে শোনা যায়, স্ত্রী শাবানা তাঁর সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু। শাবানার বিশ্বাস, তাঁরা একে-অপরকে স্পেস দেওয়ার মাধ্যমে সম্পর্ককে জটিল করে দেননি। তাঁর এ-ও দাবি, সম্পর্ক নিয়ে তাঁদের এই কেমিস্ট্রিই বিয়ের মতো আপাত ‘জটিল’ একটি ধারণাকে বারবার হারিয়ে দেয়।