পরিচালক মোহিত সুরির ‘রাজ ২’ ছবির মধ্যে দিয়েই কঙ্গনার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল অধ্যয়ন সুমনের। ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ২০০৯ সালে। রিল লাইফ প্রেম রিয়েল লাইফে গড়াতে বেশি সময় নেয়নি। কিন্তু সেই প্রেম টেঁকেনি। বরং শেষ হয়েছিল ব্যক্তিগত কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির মধ্যে দিয়ে। এর আগে বহুবার কঙ্গনার সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুলেছেন অধ্যয়ন সুমন। আবারও মুখ খুললেন তিনি। বহু বছর আগে শেষ হয়ে যাওয়া এক সম্পর্ক নিয়ে প্রকাশ্যেই বললেন নানা কথা। জানালেন বাবা শেখর সুমনের উপদেশেই কীভাবে ওই সময়টি কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে অধ্যয়ন যোগ করেন, “ওই সম্পর্কে অনেক বছর ধরে অনেক কিছু হয়েছে। আমার জন্য একটা কঠিন সময় ছিল। শুধু মএন হত আমি এই সব বরদাস্ত কী করে করলাম?” তিনি আরও যোগ করেন, ওই সময় মানসিক দিক দিয়ে ইমোশনাল যুদ্ধ চলছিল তাঁর মধ্যে। আর সেই যুদ্ধ কোনও ব্যক্তির সঙ্গে নয় বরং সেই যুদ্ধ নিজের সঙ্গে নিজের। তাঁর কথায়, “মনে হত, কেন আমি কথা শুনলাম না সবার, আগেই কেন সরে এলাম না…”।
তবে বাবাকে পাশে পেয়েছিলেন সে কথাও জানালেন অধ্যয়ন। তিনি জানান, বাবাই তাঁকে বলেছিলেন কখনও কখনও এমন হয় দুটি মানুষ দুজন দুজনের জন্য তৈরি হয় না। তিনি যোগ করেন, “বাবা বলতেন, কেউ ভাল খারাপ হয় না। হতে পারে দুজন আলাদা ব্যক্তি দুজনের জন্য তৈরি হয়নি। এই ভেবেই জীবনে এগিয়ে গিয়েছিলাম।” যদিও এর আগে কঙ্গনার বিরুদ্ধেও মুখ খুলেছিলেন অধ্যয়ন। জানিয়েছিলেন, কঙ্গনা শারীরিক ভাবেও নিগ্রহ করতেন তাঁকে। এমনকি কঙ্গনা আর হৃতিকের ঝামেলায় তিনি হৃতিকের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন। বলেছিলেন, তিনিও একই জায়গায় মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। তাই হৃতিকের বিরুদ্ধে আনা কঙ্গনার অভিযোগ সঠিক নয়।
কঙ্গনা রানাওয়াতে পর অভিনেত্রী মায়েরা মিশ্রর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অধ্যয়ন। কিন্তু সেই সম্পর্কও সুখের হয়নি। কেন মায়েরার সঙ্গেও বিচ্ছেদ হল তাঁর? অধ্যয়নের কথায়, “হ্যাঁ অবশ্যই ওকে ভালবাসতাম। সবার ব্রেকআপের ধরন আলাদা হয়। আমার ক্ষেত্রেও তাই। আমি ওর সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই। ও আমায় নিয়ে যা যা বলেছে সে কথাও আমি শুনেছি। ফেয়ার অ্যান্ড ফাইন। আমার মনে হয় না আর কিছু বলে এই বিতর্কে ফুয়েল যোগ করার কোনও মানে আছে।এর কোনও মানে হয় না।”
এর আগে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে মিডিয়ার সামনে মুখ খুলেছিলেন মায়েরা। অধ্য্য়ন সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন, “আমাদের মধ্যে সব নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। যে মানুষটাকে ভালবেসেছিলাম যখন লিভ ইন করতে শুরু করলাম দেখি মানুষটাই আলাদা।” মায়েরার ওই কথার প্রসঙ্গে অধ্যয়নের মন্তব্য, “যদি সম্পর্ক টক্সিক হয়ে যায় তবে আলাদা পথে যাওয়াই ভাল”।
ইন্ডাস্ট্রিতে এখনও তিনি স্ট্রাগলিং। অন্যদিকে কঙ্গনা রানাওয়াত পরিচিত ‘কুইন’ হিসেবে। ব্রেকের খোঁজে অধ্যয়ন। জীবনের ফেলে আসা অধ্যায় থেকে শিক্ষা নিয়েই এগিয়ে যেতে চান তিনি।