Akshay Kumar: পঞ্জাবে জন্মেও কেন কানাডার নাগরিত্ব নেন অক্ষয়? দায়ী ১৪টা ফ্লপ ছবি
Akshay Kumar: কানাডা কুমার, বিদেশী কুমার-- ইত্যাদি নানা নামে কিছু দিন আগেও ডাকা হত তাঁকে। তাঁকে অর্থাৎ অক্ষয় কুমারকে। এ বছরের স্বাধীনতা দিবসে দিনেই অবশেষে ঘুচেছে অভিশাপ। বহুদিনের অপেক্ষার পর হাতে এসেছে ভারতের নাগরিকত্ব। পঞ্জাবের অমৃতসরে জন্মেও কেন এতদিন কানাডার নাগরিকত্ব নিয়ে জীবন অতিবাহিত করতে হল তাঁকে?

কানাডা কুমার, বিদেশী কুমার– ইত্যাদি নানা নামে কিছু দিন আগেও ডাকা হত তাঁকে। তাঁকে অর্থাৎ অক্ষয় কুমারকে। এ বছরের স্বাধীনতা দিবসে দিনেই অবশেষে ঘুচেছে অভিশাপ। বহুদিনের অপেক্ষার পর হাতে এসেছে ভারতের নাগরিকত্ব। পঞ্জাবের অমৃতসরে জন্মেও কেন এতদিন কানাডার নাগরিকত্ব নিয়ে জীবন অতিবাহিত করতে হল তাঁকে? এর কারণ অক্ষয়ের জীবনের ১৪টা ফ্লপ ফিল্ম, অন্তত এমনটাই দাবি করেছেন অভিনেতা। তাঁর কথায়, “আমি কানাডার নাগরিক হই কারণ একসময় আমার কোনও ছবিই বক্স অফিসে চলছিল না। এমন একটা সময় আসে যেখানে আমি পরপর ১৩ থেকে ১৪টা ফ্লপ ছবি দিয়েছিলাম। সে সময় আমার খুব কাছে এক বন্ধু ক্যানাডায় থাকত। ও আমার বলে সে দেশে চলে যেতে। ওখানে গিয়েই কার্গোর ব্যবসা করার কথা ছিল আমাদের।”
অক্ষয় যোগ করেন, “আমিও সবটা মেনে নিয়েছিকাম। কী করব। ছবি চলছে না, আমায় তো কিছু একটা করতে হবে। কর্মহীন হয়ে তো বসে থাকতে পারব না।” বন্ধুর কথামতো টরেন্টোতে গিয়ে সেখান থেকে কানাডিয়ান পাসপোর্ট জোগাড় করেন অক্ষয়। এরই মধ্যে ঘটে যায় এক মিরাকল। ভাগ্য যে কখন কার জন্য কী রেখে দেয়, তা কেই বা বলতে পারে? অক্ষয়ের কথায়, “ক্যানাডায় থাকাকালীনই আমার দুটি ছবি মুক্তি পায়। আর কী ভাগ্য দেখুন। দুটি ছবিই সুপারহিট হইয় আমার। আরও অনেক ছবির অফার আসতে থাকে আমার কাছে। বন্ধুকে আমি সাফ জানিয়ে দিই, দেশে ফিরে যাচ্ছি আমি। কিন্তু ভাবিনি পরবর্তীতে এই কারণে আমাকে ট্রোল্ড হতে হবে। আমি কিন্তু এ দেশের সর্বোচ্চ আয়কর দাতাদের মধ্যে একজন।”
প্রসঙ্গত, এ বছরের ১৫ অগস্ট ভারতের নাগরিকত্ব হাতে পেয়ে অক্ষয় লিখেছিলেন,” মন ও নাগরিকত্ব– দুটোই হিন্দুস্থানী। সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা। জয় হিন্দ।” স্বস্তি পেয়েছিলেন তাঁর ভক্তরাও। দেরি হলেও অবশেষে অভিশাপ যে মিটল তাঁর।
