Birju Maharaj Demise: বিরজু মহারাজের সঙ্গে কাটানো ওই তিন দিন ভুলতে চান না আলিয়া
প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে বিরজু মহারাজ তাঁর নাতির সঙ্গে খেলছিলেন। সেই সময়ই হঠাৎ তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে, সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মৃত্যু হয়েছে কিংবদন্তীর। নাতির সঙ্গে খেলতে খেলতেই রবিবার রাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন বিশিষ্ট কত্থক শিল্পী বিরজু মহারাজ (Birju Maharaj) । তাঁর মৃত্যুতে ৯০-র রানি মাধুরী দীক্ষিতের চোখে যেমন জল ঠিক তেমনই নিউএজ তালিকারও মন হয়েছে দ্রব। মনে পড়ে যাচ্ছে মহারাজের সঙ্গে কাটানো ওই তিনটে দিনের কথা। আলিয়া ফিরে যাচ্ছেন অতীতে, ঠিক ৪ বছর আগে।
‘কলঙ্ক’ ছবিতে ‘ঘর মোরে পরদেশিয়া’ গানের সঙ্গে নেচেছিলেন আলিয়া। ক্লাসিক্যাল ঘরানায় ওই নাচ প্রশিক্ষণের জন্যই আলিয়া সান্নিধ্য পেয়েছিলেন তাঁর। তিন দিন কাটিয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে। ৩৬৫ দিনের নিরিখে নেহাতই সামান্য সময়। তবে আলিয়া লিখছেন, “আমার জীবনের সৃষ্টিশীল মুহূর্তগুলির মধ্যে তা ছিল অন্যতম। একজন লেজেন্ড যিনি আমার মতো লাখ মানুষকে উৎসাহ যুগিয়েছেন তাঁর কাজের মাধ্যমে। আজ এই কথাগুলো লিখতে গিয়ে আমার হৃদয় দ্বিখণ্ডিত হয়ে যাচ্ছে…”।
প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে বিরজু মহারাজ তাঁর নাতির সঙ্গে খেলছিলেন। সেই সময়ই হঠাৎ তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে, সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই তাঁর কিডনিতে সমস্যা ধরা পড়ে। এরপর থেকেই ডায়ালেসিস চলছিল। কেবল বিরজু মহারাজই নন, তার পরিবারের বাকি সদস্যরাও কত্থক নৃত্যের প্রবাদপ্রতীম শিল্পী ছিলেন। মহারাজ পরিবারের বাকি দুই সদস্য, তাঁর দুই কাকা শম্ভু মহারাজ ও লচ্চু মহারাজও বিখ্যাত কত্থক শিল্পী ছিলেন। তাঁর বাবা গুরু আচ্চান মহারাজও কত্থক নৃত্যকে এক নয়া শিখরে নিয়ে গিয়েছিলেন।
শুধু কত্থক নৃত্যই নয়, অসাধারণ বাদ্য বাজাতে পারতেন বিরজু মহারাজ। তিনি প্রায় সবধরনেরই বাদ্য বাজাতে পারতেন, তবলা ও নালে তিনি বিশেষ পারদর্শী ছিলেন। একইসঙ্গে অসাধারণ গানও গাইতেন তিনি। ঠুংরি, দাদরা, ভজন ও গজল গাইতে পারদর্শী ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শিল্পী মহলে বিষাদের কালো মেঘ। যে মেঘ জমেছে আলিয়া ভাটের হৃদয়েও।