সেজে উঠেছে বিলাসবহুল বাড়ি। সেজে উঠেছে পরিণীতি চোপড়ার মনও। মাঝে মাত্র এক দিন। এর পরেই আপনেতা রাঘব চাড্ডার সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন হতে চলেছে তাঁর। সূত্র জানাচ্ছে এই উপলক্ষেই মার কয়েক দিনের জন্য সাত সমুদ্র তেরো নদীর পার থেকে উড়ে আসছেন তাঁর তুতো-দিদি প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও। কী হতে চলেছে সেখানে? আর কে কে থাকছেন? কী বা পরছেন পরিণীতি? সে হিসেবই রইল একনজরে। জানা যাচ্ছে নিক হয়তো আসতে পারছেন না। মেয়ে মালতি আসবে কিনা সে বিষয়েও সন্দেহ রয়েছে। সূত্র জানাচ্ছে , “প্রিয়াঙ্কার জন্য এটি একদমই ছোট একটি ট্রিপ হতে চলেছে। বোনের জন্য কোনওরকমে সময় বার করেছেন তিনি। ১৩ তারিখ সকালে দিল্লি পৌঁছবেন তিনি।” মণীশ মালহোত্রও হাজির থাকবেন সেখানে। তাঁর ডিজাইন করা পোশাকেই সাজবেন নায়িকা। ইতিমধ্যেই দিল্লি পৌঁছে গিয়েছে পরিণীতি। সূত্র আরও জানাচ্ছে, “বাগদান নিয়ে কিন্তু লুকোছাপা করতে তাঁরা চান না। কিন্তু প্রকাশ্যে সবটা জানাতেও চান না। ওদের জন্য এটি একটি বড় অনুষ্ঠান। সবার আশীর্বাদ নিয়েই জীবন শুরু করতে চান তাঁরা।” ধুমধাম করেই হবে অনুষ্ঠান। প্যাস্টেল রঙকে বেছে নেওয়া হয়েছে থিম হিসেবে। সব ঠিক থাকলে আজ অর্থাৎ শুক্রবার রাত থেকেই অতিথিরা আসতে শুরু করবেন। কোথায় হবে এই অনুষ্ঠান? দিল্লির কাপুরতলা হাউজেই বসবে আসর। এখানেই শেষ নয়, রাঘবের মামা পবন সাচদেব নিজে ফ্যাশন ডিজাইনার। তাঁর তৈরি পোশাকেই সাজবেন রাঘব। শুধুমাত্র দিল্লি নয়, পরিণীতির মুম্বইয়ের বাড়িও সেজে উঠেছে। তবে বাগদান সেরে নিলেও বিয়ের প্ল্যান নেই এখনই নেই তাঁদের। তবে চোপড়া-চাড্ডার মিলনে উচ্ছ্বসিত সকলেই।
কোথা থেকে প্রেমের শুরুটা এই দুই জনের? লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সে দু’জনে একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন। এর পর দুজনের কেরিয়ার আলাদা হয়ে গেলেও বন্ধুত্ব ফিকে হয়নি। দুজনেই ঘুরতে ভালবাসেন। রয়েছে চরিত্রগত মিলও। আর এত মিলই দুজনকে এনে দিয়েছেন কাছাকাছি। এর আগে যখন সিঙ্গল ছিলেন তখন প্রেম নিয়ে মুখ খুলেছিলেন পরিণীতি। বলেছিলেন, “আমার বিয়ের ইচ্ছে রয়েছে। ইচ্ছে রয়েছে সন্তান ধারণেরও। আমি এমন একটা কেরিয়ার চাই যাতে উত্থান ও পতন দুই-ই থাকবে।” যোগ করেছিলেন, “বহুদিন ধরে অনেকের প্রেম জীবনের সম্পর্কে ওয়াকিবহাল আমি। বিয়ে সব সময়েই পরবর্তী পদক্ষেপ। যেদিন মনের মানুষকে খুঁজে পেয়ে যাব, ভালবাসব। বিয়ে করতে চাইব।” অবশেষে সেই মনের মানুষের হদিশ মিলেছে নায়িকার।