৫০ বছর হয়ে গিয়েছে বিবাহিত জীবনের। চেনাশোনা তাঁরও আগে থেকে। তবে জানেন কি অমিতাভ বচ্চনের জীবনে সবচেয়ে বড় সমালোচক হলেন জয়া বচ্চন? এমনও হয়েছে অমিতাভ বচ্চনের ছবি দেখতে গিয়ে মাঝপথে বেরিয়ে গিয়েছেন জয়া। বিগ-বি’র কথায়, “ওর যদি পছন্দ না হয়,ও ছবি দেখেই বলবে, এ সব কি তৈরি করেছ? বাড়ি ফিরলেই শুরু হবে সমস্যা।” তবে জয়ার বোধশক্তি যে সব সময়েই সঠিক হয়ে থাকে এ কথা অকপটে স্বীকার করেছেন অমিতাভ।
তাঁর কথায়, “ওর মারাত্মক অনুমান ক্ষমতা রয়েছে। প্রথম বার কারও সঙ্গে দেখা হলেই ও বুঝে যায়। আমায় এসে বলবে, ‘এই ছেলেটাকে ভাল লেগেছে। ও ভাল ছবি তৈরি করবে।’ আমি তো স্ত্রীর কথা ভয়ে ভয়ে মেনে নিই, নয়তো যদি আবার সমস্যা শুরু হয়ে যায়। কিন্তু প্রতিবারই দেখেছি, ও যা বলে তাই কীরকম ভাবে যেন সত্যি হয়ে যায়।” ১৯৯৯ সালে এক সাক্ষাৎকারে অমিতাভ বলেছিলেন তাঁর অভিনীত ‘মৃত্যুদাতা’র স্ক্রিনিং পুরোটা দেখেননি জয়া।
এ কারণে কিছুটা হলেও ঋণী অমিতাভ। জয়া আছেন বলেই নিজেকে চ্যালেঞ্জ দিতে পারেন প্রতি মুহূর্তে। বয়স ৮০ পার হয়ে গেলেও আজও তিনি প্রতিটি বিষয় নিয়ে অদম্য উৎসাহী। প্রসঙ্গত, অমিতাভ ও জয়াকে শেষ দেখা গিয়েছে ‘কি ও কা’ ছবিতে। ছবিটির পরিচালক ছিলেন আর বাল্কি। সম্প্রতি জয়াকে দেখা গিয়েছে করণ জোহর পরিচালিত ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’ ছবিতে। ছবিটি দর্শক মহলে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছিল।