ওয়াহিদা রহমান, যাঁর রূপে যাদুতে মুগ্ধ ছিলেন প্রতিটা দর্শক। নিজের সাজ ও লুকের বিষয় তিনি এতটাই সচেতন ছিলেন যে একাধিকবার তাঁর সেই সাজঘর চর্চার কেন্দ্রে উঠে আসতে দেখা যায়। একাধিক স্টার তাঁর এই বিশেষ দিক নিয়ে কথা বলতেন। সম্প্রতি কৌন বনেগা ক্রোড়পতিতে এই প্রসঙ্গে মুখ খুলতে দেখা যায় অমিতাভ বচ্চনকে। শোনা যায় ওয়াহিদা রহমানের পিছনে নাকি গোটা একটা টিম কাজ করত, যাঁরা প্রতিটা মুহূর্তে তাঁকে পার্ফেক্ট করে রাখার চেষ্টা করত। তবে চর্চায় একাধিকবার অভিনেত্রী ওয়াহিদার প্রসঙ্গ উঠে আসে। সকলেই তাঁর সেটে এই সাজো সাজো রব নিয়ে চর্চা করে। কিন্তু কোথাও গিয়ে যেন এটা কেবল তিনি বা তাঁর একার স্বভাব ছিল না। সেই সময় অধিকাংশ অভিনেত্রীরাই নিজেদের গুছিয়ে রাখতে পছন্দ করতেন। না, কেবল মুখের অবয়ব নয়, সম্পূর্ণভাবে নিজেকে কেমন লাগছে তা আয়নায় দেখতে চাইতেন তাঁরা।
অমিতাভ বচ্চনের কথায়, কেবল ওয়াহিদাই নয়, সেই সময় অধিকাংশ অভিনেতারই এমনই স্বভাব বর্তমান ছিল। সেই সময় এমন বহু অভিনেত্রী ছিলেন যাঁদের আয়না ধরার জন্য চারজনকে প্রয়োজন ছিল। কারণ তাঁরা চাইতেন পূর্ণ দৈঘ্যের একটি আয়না। কারণ তাঁরা ওপর থেকে নীচ পর্যন্ত নিজেদের দেখতে চাইতেন। তাঁদের সাজ, তাঁদের পোশাক, তাঁদের কেমন লাগছে। শুট শুরুর আগে প্রতিটা ক্ষেত্রে নিজেদের এভাবে সাজিয়ে রাখতেন তাঁরা। তাঁরা সমস্তটাই দেখতে চাইতেন। সব পারফেক্ট হতে হবে। সেই কারণেই তখনকার অভিনেত্রীজদের সাজ ঘর নিয়ে একাধিক গল্প তৈরি হত। সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে তাঁরা যেন অপসরা। দিন দিন নো মেকআপ লুকের চল ক্যামেরার সামনে নেমে আসলেও তথাকথিত অভিনেত্রীরা কিন্তু এই বিষয় বেজায় সচেতন থাকতেন।