৮০ বছর পার করেছেন তিনি। বয়সের ভার গ্রাস করেছে তাঁকে। মনের দিক থেকে আজও তিনি অষ্টাদশী, কিন্তু সময় যে থেমে থাকে না। জায়গা হারানোর আতঙ্ক কি তাই ক্রমশ গ্রাস করছে খোদ অমিতাভ বচ্চনকেও? ব্যক্তিগত ব্লগে নিজেকে উজাড় করেন তিনি। যা সামাজিক মাধ্যমে বলা যায় না, তাই লিখে ফেলেন অখন্ড অবকাশে। এবার প্রাত্যহিক ব্লগে নিজেকে নিয়ে অনিশ্চয়তার কথাও সামনে আনলেন তিনি। প্রতি রবিবার নিজের বাড়ি ‘জলসা’য় ভক্তদের সঙ্গে দেখা করেন অমিতাভ। কোভিডকালে তা কিছুদিনের জন্য বন্ধ থাকলেও আবারও সেই প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তিনি। তবে মনে কাজ করছে এক অজানা ভয়। বারেবারেই মনে হচ্ছে, “ওঁরা কি আসবেন নাকি আসবেন না?”
ব্লগে অমিতাভ লিখছেন, “আসবে নাকি আসবে না– এই প্রশ্নই বারংবার ঘুরে ফিরে আসে। চ্যাপলিনের সেই প্রশ্ন। দীর্ঘ বিরতির পর চ্যাপলিন যখন অ্যাকাদেমি পুরস্কার সংগ্রহ করতে ফিরেছিলেন, তখন তাঁরও মনে প্রশ্ন জেগেছিল, “এই যে মঞ্চে গিয়ে দাঁড়াব, তাঁরা কি আমার জন্য করতালি দেবেন?” যত বড় তারকাই হন না কেন– একটা বয়সের পর নিজেকে নিয়ে সন্দেহ যে জেগেছিল চ্যাপলিনেরও, সেই কথাই যেন মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, কিছু দিন আগেই আরও এক হৃদয় বিদারক লেখা লিখেছিলেন বিগ-বি। ‘সানডে দর্শন’-এ লোক সমাগম কমতে শুরু করেছে, তা বুঝতে পেরে তিনি লেখেন, “আমি লক্ষ্য করেছি লোক কম আসছেন। আনন্দের সেই চিৎকার বন্দি হচ্ছে মুঠোফোনে। সেই উত্তেজনাও যেন কমেছে আগের থেকে… আর তাই যেন প্রমাণ করে দিচ্ছে সময়ের পরিবর্তন ঘটেছে। আর কোনও কিছুই চিরস্থায়ী নয়।”
তবে তাঁর যে স্টারডম কমেছে, এ কথা মানতে নারাজ তাঁর ভক্তরা। তাঁদের কাছে আজও তিনি ‘শাহেনশাহ’। এই মুহূর্তে পরপর কাজে ব্যস্ত তিনি। কিছু দিন আগেই শারীরিক অসুস্থতা কাটিয়ে উঠেছেন। সেই আপডেটও দিয়েছিলেন ভক্তদের। আপাতত সেই বিপদ কেটে তিনিও লেগে পড়েছেন নতুন উদ্যমে।