Karisma-Shahid: বিরক্ত করিশ্মা, শাহিদকে দেখে বলেছিলেন ‘কে এ’!
Karisma-Shahid: মিউজিক্যাল ড্রামার এই ছবির ‘লে গ্যাই’ সহ সবকটি খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। করিশ্মা, শাহরুখ ছাড়াও ছবিতে ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত।

ফিরে দেখা ১৯৯৭ সালে। করিশ্মা কাপুর (Karisma Kapoor)যিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে সিনেমায় অভিনয় শুরু করেন, তাঁর জীবনের অন্যতম সেরা ছবি ‘দিল তো পাগল হ্যায়’ ছবির সেটে। কী হয়েছিল সেখানে? ছবির একটি জনপ্রিয় গান ‘লে গ্যাই দিল’-এর শুটিং চলছে। ডান্স কোরিওগ্রাফার শমক দাভর। গানের সঙ্গে সহ নৃত্যশিল্পী হিসেবে শমকের ছাত্র-ছাত্রীরাই ছিলেন। গানের দৃশ্যটি করিশ্মা এবং ছবির নায়ক শাহরুখ খানের উপর চিত্রায়িত হবে। গানটি একটি স্টেজ পারফরম্যান্স। ফলে অনেক নৃত্যশিল্পীকে রাখতে হয়েছে। সব ঠিক ছিল, সমস্যা দেখা দিল শুটিং শুরু হলে। একটি লম্বা চুলওয়ালা ছেলের জন্য ১৫ বার রিটেক হল গানের একটি দৃশ্যের। নায়িকা নন, একজন ব্যাকআপ ডান্সারের জন্য এমন হলে বিরক্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক। স্বয়ং নায়িকা বলে ওঠেন ‘কৌন হ্যায় ইয়ে’ (কে এ)।
কে ছিল সেই ছেলেটি? তিনি আর কেউ নন, শাহিদ কাপুর। তখন তিনি শমকের ডান্স অ্যাকাডেমির ছাত্র। ফলে তিনিও সুযোগ পান করিশ্মার সঙ্গে ডান্স করার। একটি পুরোনো সাক্ষাৎকারে শাহিদ নিজেই বিষযটি জানান। তিনি করিশ্মার খুব বড় ভক্ত ছিলেন। (তখন কে জানত করিশ্মার বোনের সঙ্গেই একদিন প্রেম করবেন সেই লম্বা চুলওয়ালা ছেলেটি। যিনি সেই সিনেমার ৬ বছর পর নায়করূপে বলিউডে ডেবিউ করেন। ‘তাল’ ছবিতেও তিনি ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সার ছিলেন। সেখানে ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেন শাহিদ।)

নাচের সেই দৃশ্য
তাঁকে দেখে একে তো নার্ভাস, তাতে লম্বা চুলের কারণে বারবার ভুল করছিলেন, এমনটাই দাবি ছিল শাহিদের। সেই স্মৃতি থেকে তিনি প্রকাশ করেছেন, “একটি ছেলে ছিল যে সামান্য অফবিট, আর সেটা আর কেউ নন, আমি শপথ করে বলছি তাঁর মাথায় সত্যিই বড় চুল ছিল, সেটাই ছিলাম আমি। আমার এখনও মনে আছে আমি তাঁকে করিশ্মা বলব না কারণ সে সময় তিনি কারিশমা কাপুর ছিলেন, তাঁকে ১৫ বার রিটেক দিতে হয়েছিল শুধু আমার কারণে।”
মিউজিক্যাল ড্রামার এই ছবির ‘লে গ্যাই’ সহ সবকটি খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। করিশ্মা, শাহরুখ ছাড়াও ছবিতে ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। এই গানের দৃশ্যটির পারফরম্যান্স খুব শক্ত ছিল। কারণ সমস্ত ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সারদের একসঙ্গে পারফর্ম করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল সঠিকভাবে গানের দৃশ্যটি শুট করার জন্য। যাইহোক, শাহিদের চুলের স্টাইল ছিল লম্বা। যা করিশ্মার সামনে নাচতে গিয়ে তাঁকে বিব্রত করেছিল। অন্যদিকে নায়িকাও বিরক্ত হচ্ছিলেন। শাহিদের আজও স্মরণে আছে করিশ্মা কী বলেছিলেন বিরক্ত হয়ে, “একবার তিনি ফিরে গিয়ে বলেছিলেন ‘ইয়ে কৌন হ্যায়? কৌন হ্যায় ইয়ে?’ (এটি কে) আর আমি নিজেকে লুকিয়ে বলেছিলাম ‘ম্যায় নেহি হুঁ, ম্যায় নেহি হুঁ, (এটা আমি নই)”। তাঁর কথায় তিনি তখন সবেমাত্র শমক দাভরের অ্যাকাডেমিতে যোগ দিয়েছিলেন। আর তখন চুলও লম্বা ছিল। শাহিদ এরপর দাবি করেন, “এটি আসলে আমার দোষ ছিল না, এটি কেবল আমার চুলের দৈর্ঘ্যের জন্য হয়েছিল”।





