Salman Khan: অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন সলমন খান, দিন-দুপুরে বাড়ির সামনে ‘শার্পশুটার’

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে প্রাতর্ভ্রমণের সময় এক হুমকি চিঠি পান সলমনের বাবা সেলিম খান। সেখানে সলমন ও তাঁর পরিবারের উদ্দেশে লেখা হয়, 'মুসেওয়ালার মতো অবস্থা হবে।"

Salman Khan: অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন সলমন খান, দিন-দুপুরে বাড়ির সামনে শার্পশুটার
প্রাণে বাঁচলেন সলমন খান

| Edited By: বিহঙ্গী বিশ্বাস

Jun 10, 2022 | 3:40 PM

সিধু মুসেওয়ালে কাণ্ডে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন সলমন খান। ‘টাইমস নাও’-র এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে এমনটাই। এর আগে হুমকি চিঠি পেয়েছিল খান পরিবার। তবে এবার আর চিঠি নয়, দিনে-দুপরে সলমনকে ‘শার্পশুটার’ দিয়ে হত্যার ছক কষে মুসেওয়ালা কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই ও তার দলবল, জানাচ্ছে ওই প্রতিবেদন।

বেশ কয়েক দিন আগে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়েছিল জনপ্রিয় পঞ্জাবি গায়ক তথা কংগ্রেস নেতা সিধু মুসেওয়ালাকে। ময়নাতদন্তের পর সিধুর দেহে ৩০টির বেশি গুলির চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল। সিধু খুনের ঘটনায় উঠে আসে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নাম। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে জানা সিধুর পর এবার সলমনই লক্ষ্য তাদের। পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই সলমনের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে রেকি চালিয়েছিল ওই গ্যাংস্টারের দল। তাঁরা জানত, সলমন সকালবেলা যখন সাইকেল চালাতে যান, তখন কোনও রক্ষী নিয়ে যান না। হত্যার উপযুক্ত সময়ে হিসেবে ওইটিই বেছে নিয়েছিল তারা। নিযুক্ত করা হয় শার্পশুটার। হকি স্টিকের মধ্যে ছোট্ট অস্ত্র লুকিয়ে নিয়েই সাইকেল চালানোর সময়েই সলমনকে হত্যার ছক কষা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ওই পরিকল্পনা থেকে সরে আসে হত্যাকারীর দল।

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে প্রাতর্ভ্রমণের সময় এক হুমকি চিঠি পান সলমনের বাবা সেলিম খান। সেখানে সলমন ও তাঁর পরিবারের উদ্দেশে লেখা হয়, ‘মুসেওয়ালার মতো অবস্থা হবে।” বান্দ্রা থানায় খান পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগও দায়ের করা হয়। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে মুম্বই পুলিশ, বাড়ানো হয় সলমনের নিরাপত্তা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এই মুহূর্তে তিহার জেলে বন্দি থাকার লরেন্সকেও। তিনি যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিষ্ণোই গ্যাংই রয়েছে এর নেপথ্যে। লরেন্সের সহযোগী, বর্তমানে কানাডা-নিবাসী বিক্রম বারাডের নির্দেশেই সলমন ও তাঁর বাবাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। তবে এবার আর চিঠি নয়, সলমনকে খুন করতেই বাড়ির সামনে হাজির হয়েছিল শুটার, জানাচ্ছে পুলিশ। এর আগেও অবশ্য সলমনকে হত্যার পরিকল্পনা করে লরেন্সের গ্যাং।

২০১৮ সাল। লরেন্সের ঘনিষ্ঠ সম্পত নেহরা পুলিশের জালে বন্দি হন ওই বছরই। সেখানেই জেরার মুখে অভিযুক্ত দাবি করেন সলমন খানকে হত্যার ছক কষেছিল তারা। আর এই গোটা পরিকল্পনার মূল ষড়যন্ত্রী ছিল লরেন্সই। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল কৃষ্ণসার হত্যার জন্যই সলমনকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল বিষ্ণোই গ্যাং। লরেন্স জাঠ। আর তাদের সম্প্রদায়ে কৃষ্ণসার পবিত্র। সেই কারণেই লরেন্সের আক্রোশ জন্মেছিল সুপারস্টারের উপর। যদিও সম্পত ধরা পড়ায় সে যাত্রায় ভেস্তে যায় প্ল্যান। এই মিহুরতে সুপারস্টারের উপর যাতে কোনও হামলা না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য সক্রিয় মুম্বই পুলিশ।