Aryan Khan drug case: আরিয়ান গ্রেফতারের পর শাহরুখের বিজ্ঞাপনে কোপ!
Aryan Khan drug case: ২০১৭ থেকে ওই কোম্পানির জন্য যুক্ত রয়েছেন শাহরুখ। সূত্রের খবর, বছরে ওই কোম্পানি থেকে নাকি তিন থেকে চার কোটি টাকা আয় করেন কিং খান।
মাদক মামলায় আরিয়ান খান গ্রেফতার হওয়ার প্রভাব পড়ল বাবা অর্থাৎ বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খানের কেরিয়ারেও। সূত্রের খবর, বেঙ্গালুরুর একটি সংস্থা ‘বাইজুস’ শাহরুখ খানকে দিয়ে নিজেদের বিজ্ঞাপন করিয়েছিল। কিন্তু আরিয়ান গ্রেফতারের পর সেই বিজ্ঞাপন নাকি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। আপাতত শাহরুখ তাঁদের পণ্যের বিজ্ঞাপন করলে তা তাঁদের কোম্পানির ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকারক বলে নাকি মনে করছেন তাঁরা।
হুন্ডাই, বিগ বাস্কেট, দুবাই ট্যুরিজম সহ বহু বিজ্ঞাপন করেন শাহরুখ খান। কিন্তু আরিয়ানের ঘটনার পর সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে বাইজুস-কে নাকি প্রচুর সমালোচিত হতে হচ্ছে। তার একমাত্র কারণ তাঁদের সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডার শাহরুখ। সে কারণেই নাকি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম থেকে বিজ্ঞাপন সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
২০১৭ থেকে ওই কোম্পানির জন্য যুক্ত রয়েছেন শাহরুখ। সূত্রের খবর, বছরে ওই কোম্পানি থেকে নাকি তিন থেকে চার কোটি টাকা আয় করেন কিং খান। তিন সপ্তাহ আগে শাহরুখের সঙ্গে নতুন একটি বিজ্ঞাপনী ক্যাম্পেনিং শুরু করেছিল সংশ্লিষ্ট কোম্পানি। পরবর্তী আইপিএল-এর জন্যও নাকি বিজ্ঞাপনের পরিকল্পনা করে ফেলেছিলেন তাঁরা। তবে ভবিষ্যৎ সব পরিকল্পনাই এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়ল।
অন্যদিকে মুম্বই ক্রুজ ড্রাগ পার্টির সঙ্গে বলিউড প্রযোজক ইমতিয়াজ খাতরির যোগের সন্দেহে শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ ইমতিয়াজের মুম্বইয়ের বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালালেন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর অফিসাররা। গত বছর সুশান্ত সিং রাজপুতের অকাল প্রয়াণের পর ইমতিয়াজের নাম প্রকাশ্যে আসে। সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার শ্রুতি মোদীর আইনজীবি অশোক সারোগি সুশান্ত কাণ্ডে ইমতিয়াজের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছিলেন। এ বার আরিয়ান খান গ্রেফতার মামলাতেও জড়িয়ে গেল ইমতিয়াজের নাম।
গতকালও মাদক মামলায় জামিন পাননি আরিয়ান। মুম্বইয়ের আদালত আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট এবং মুনমুন ধামেচার জামিনের আবেদন ফের খারিজ করে দিয়েছে। অ্যাডিশনাল মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আরএম নীলেকর তিন অভিযুক্তের জামিনের আবেদন খারিজ করেছেন। মাদক-কাণ্ডে শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ানের জামিনের আবেদনের শুনানি ধর্তব্যের মধ্যে নয় বলে জানায় এনসিবি। এনসিবির বিশেষ আদালতের যুক্তি যেহেতু অভিযুক্তদের কাছ থেকে কিছু মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সেই কারণে এই জামিন মামলার শুনানি একমাত্র জেলা দায়রা আদালতেই বিচার হতে পারে। জেলা আদালতের তলায় কোনও ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচার হতে পারে না।
নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর তরফে এএসজি অনিল সিং তিন অভিযুক্তের জামিনের বিরোধিতা করেন। এনডিপিএস আইনের আওতায় তাঁরা দোষী বলে দাবি করেন তিনি। এনসিবির হেফাজতে নয় আরিয়ান সহ বাকি অভিযুক্তরা আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী থাকবেন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে। জামিন পেলে প্রভাব খাটিয়ে আরিয়ান প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টা করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনিল। অনিল বলেন, “এরা প্রভাবশালী ব্যক্তি। প্রমাণ নষ্ট করার একটা সুযোগ থাকতেই পারে। আমাদের কাছে অনেক উপাদান রয়েছে। এই সময়ে জামিন তদন্তের কাজে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।”
আরিয়ানের আইনজীবী সতীশ মানেশিন্ডে ফের গতকাল আদালতে সওয়াল করেন, আরিয়ান খানের কাছ থেকে কোনও কিছু পুনরুদ্ধার হয়নি এবং এনডিপিএস আইনের ৩৭ ধারায় জামিনের কঠোরতা তাঁর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। কিন্তু সে আর্জি মানতে নারাজ আদালত।
আরও পড়ুন, Durga Puja 2021: গাজনের গান সঙ্গে পুতুল নাচ, পুজোর মরসুমে অর্কদীপের নতুন উদ্যোগ