Jacqueline Fernandez: জ্যাকলিনকে হলিউডে কাজ পাইয়ে দেওয়ার ‘ভুয়ো’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ‘প্রেমিক’ সুকেশ!
শুধু হলিউডই নয়, দক্ষিণী ছবিতে বড় বড় চরিত্র থেকে শুরু করে ওয়েব সিরিজে কাজের প্রলোভনও জ্যাকলিনকে দিয়েছিলেন সুকেশ। একই সঙ্গে তাঁকে তুলনা করেছিলেন হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির সঙ্গেও, যার ফলে জ্যাকলিনও নাকি মন দিয়ে বসেন সুকেশকে।
যত দিন যাচ্ছে প্রতারণায় অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরকে নিয়েই ততই নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে। দামী দামী উপহারে ভরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে হলিউড ছবিতেও কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সুকেশ, এমনটা জানাচ্ছে ইন্ডিয়া টুডে-র এক প্রতিবেদন। এখানেই শেষ নয়, ভারতে অত্যাধুনিক ভিএফএক্স যুক্ত এক নারীকেন্দ্রিক সুপার হিরো চরিত্রে জ্যাকলিনকে কাস্ট করার ইচ্ছেও নাকি প্রকাশ করেছিলেন নিজেকে সান টিভির অধিকর্তা বলে দাবি করা ওই ব্যক্তি।
শুধু হলিউডই নয়, দক্ষিণী ছবিতে বড় বড় চরিত্র থেকে শুরু করে ওয়েব সিরিজে কাজের প্রলোভনও জ্যাকলিনকে দিয়েছিলেন সুকেশ। একই সঙ্গে তাঁকে তুলনা করেছিলেন হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির সঙ্গেও, যার ফলে জ্যাকলিনও নাকি মন দিয়ে বসেন সুকেশকে। তাঁর উপহারের তালিকাও নেহার কম ছিল না। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে ৫২ লক্ষ টাকার সাদা ঘোড়া ও ৯ লক্ষ টাকার পারশিয়ান বিড়াল অভিনেত্রীকে উপহার দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। এ ছাড়াও দুই জোড়া হীরের কানের দুল, দুটি হারমাস ব্রেসলেট, বার্কিন ব্যাগ, দামী গাড়ি এসবই ছিল উপহারের তালিকায়। ইডি সূত্রে আরও খবর, নোরা ফতেহিকেও বিমএমডব্লিউ উপহার দিয়েছিলেন সুকেশ, যা হস্তগত করতে চলেছে ইডি।
ইডিকে দেওয়া জ্যাকলিনের বয়ান অনুযায়ী, ২০১৭ থেকে সুকেশকে তিনি চেনেন। তাঁর দাবি অগস্ট মাসে প্রতারণায় অভিযুক্ত হয়ে গ্রেফতার হওয়ার পর সুকেশের সঙ্গে তাঁর আর কথা হয়নি। তবে শুধু জ্যাকলিন অথবা নোরার সঙ্গেই নয় তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে শিল্পা শেট্টি থেকে শুরু করে শ্রদ্ধা কাপুর, হরমন বাভেজাসহ বেশ কিছু অভিনেতার সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল সুকেশের। একসময় দিল্লি পুলিশের ইকনমিক অফেনসেস উইং সুকেশের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ছাড়াও প্রতারণা এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। তাঁর চেন্নাইয়ের বাংলোতে তল্লাশি চালিয়ে ৮২ লক্ষ টাকা, দুই কেজি সোনা, ১৬টি দামি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডির কর্তারা। তা থেকেই জ্যাকলিনের নাম সামনে আসে। জারি হয় সমনও। ইডির দফতরে তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের (পি এম এল এ) নিরিখে বয়ানও রেকর্ড করা হয়। যদিও জ্যাকলিনের তরফে জানানো হয়েছিল সুকেশ কাণ্ডে শুধুমাত্র সাক্ষী হিসেবে তাঁকে তলব করা হয়েছে।