অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন ও অভিনেতা রণবীর সিং-এর মধ্যে সম্পর্কের সমীকরণ ঠিক কতটা গভীর, তার প্রমাণ বারবার মিলেছে। প্রেমে আঘাত পেয়ে দীপিকা যখন একপ্রকার নিজেকে সব জায়গা থেকে সরিয়ে নিতে মরিয়া, ঠিক সেই সময়ই তাঁর হাতটা শক্ত করে ধরতে চেয়েছিলেন রণবীর সিং। টানা দু’বছরের চেষ্টায় মন জয় করেছিলেন অভিনেত্রীর। রণবীরকে নিয়ে মুখ খুলতে গিয়ে দীপিকা নিজেই জানিয়েছিলেন, প্রতিটা মুহূর্তই তাঁর কাছে বিশেষ। রণবীর জানেন কীভাবে একজনকে সম্মান দিতে হয়, আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দিতে হয়। ২০১৮ সাল, গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন এই জুটি। সে দিন থেকে সুখী দাম্পত্যের সংজ্ঞা হয়েই রয়েছেন তাঁরা। কীভাবে? এবার সেই রহস্য খোলসা করলেন বলিউড ডিভা। TIME Magazine-এর কভারে স্থান পাওয়ার পর এক আবার শিরোনামে ‘বেশরম গার্ল’ দীপিকা।
বর্তমানে দীপিকা পাড়ুকোন বলিউডের অন্যতম ‘কস্টলি’ অভিনেত্রী, সিনেমা থেকে বিজ্ঞাপন বা ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট—সবক্ষেত্রেই চাহিদা তুঙ্গে দীপিকার। রিল থেকে রিয়েল লাইফ, দুইয়েই দাপটের সঙ্গে রাজত্ব তাঁর। কথায় বলে, যে কোনও সম্পর্কেরই ভাল-খারাপ দিক থাকে, এই জুটিও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে কীভাবে সম্পর্কে এই মাধুর্য্য বজায় রেখে চলেছেন তাঁরা? রাখঢাক না-করেই অন্দরমহলের সিক্রেট ফাঁস করেছেন দীপিকা। দিলেন সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার মোক্ষম টিপস। ‘পদ্মাবত’ বলেন, ”সম্পর্ক ধরে রাখতে সবার আগে যা প্রয়োজন, তা হল ধৈর্য্য। আমরা সিনেমা দেখে বেড়ে উঠি অথবা আশপাশের সম্পর্ক-বিয়ে দেখে বেড়ে উঠি। একটা সময়ের পর সকলেই বুঝতে পেরে যায় যে, দু’টো মানুষের পথচলাটা অনেকক্ষেত্রেই আলাদা। যা আমরা দেখে এসেছি, জেনে এসেছি, বাস্তবে তার থেকে পার্থক্যই বেশি।”
এখানেই শেষ নয়, দীপিকা আরও বলেছেন, ”আমার মনে হয় বর্তমানে ধৈর্য্যই বৈবাহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে মূল। হয়তো আমার কথাগুলো লাভগুরুদের মতো শোনাচ্ছে। তবে এটাই বাস্তব। শুধু আমি বা রণবীরই নই, আমাদের মতো অনেক কাপলই আগের প্রজন্মের কাছ থেকে এই ধৈর্য্যের ব্যাপারটা শিখতে পারে।” দীপিকা পাড়ুকোন ও রণবীর সিং বরাবরই সম্পর্ক নিয়ে সরব। পাঁচ বছরের বৈবাহিক জীবনে একটা দিনও আসেনি যখন দীপিকার একঘেয়ে লেগেছে, এর অন্যতম কারণ হল রণবীর সিং। প্রতি ১৫ দিন অন্তরই তিনি যেন এক অন্য মানুষ। যার ফলে স্বামীকে নতুন করে আবিষ্কার করতে বেশ আনন্দ পান দীপিকা। রণবীরের চরিত্রের এই এক-একটি শেডই তাঁর এনার্জির মূল বলেই এর আগে দাবি করেছেন দীপিকা।