বিয়ের মরসুম এখন ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর পরিবারে। ধর্মেন্দ্রর নাতির বিয়ে বলে কথা। সানি দেওলের ছেলে করণ দেওয়ল সাত পাকে বাঁধা পড়েন ১৮ জুন। গোটা বলিউড হাজির হয়েছিলেন এদিন তাঁদের আশীর্বাদ করতে। তালিকা থেকে বাদ পড়েননি সলমন খানও। গালা রিসেপশন পার্টিতেও সকলের নজর কেড়েছিলেন এই জুটি। নবদম্পতিকে এদিন আশীর্বাদ করতে এসেছিলেন অনেকেই। সকলের সঙ্গেই পোজ় দিয়ে ছবি তুলেছেন তাঁরা। তবে তারই মধ্যে থাকা একটি ছবি নিয়ে এখন জল্পনা তুঙ্গে। তবে কি শেষ বয়সে প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের কাছেই ফিরলেন তিনি? সানি দেওল ও ববি দেওল ধর্মেন্দ্রর প্রথম পক্ষের সন্তান। তাঁদের একসঙ্গে দেখে বেশ খুশি নেটিজ়েনদের একাংশ। আবার অপর অংশ হেমাকে খুঁজতে ব্যস্ত। যদিও এই ছবি কেবল যে সৌজন্যের জন্য তোলা তা নিয়ে খুব একটা সন্দেহ থাকে না। কারণ একটাই, ধর্মেন্দ্র ও হেমা এক কথায় বলতে গেলে বলিউডের পাওয়ার কপিল।
হেমাকে প্রাথমিকভাবে মা হিসেবে মেনে নিতে বেশ সমস্যা হয় ধর্মেন্দ্র দুই পুত্রের। তাঁদের মায়ের চোখের জল তাঁরা সহ্য করতে পারতেন না। বিটাউনে শোনা যেত ববি দেওল একটা সময় নাকি রীতিমত মারতেন ধর্মেন্দ্রকে। তবে সবটা ঠিক করেছিলেন সলমন খান। তিনি খুব ভাল বন্ধু ছিলেন ববি দেওয়লের। তাঁকে দিনের পর দিন বোঝান, তাঁর মানসিক যন্ত্রণায় পাশে থাকা, সবটাই করতেন সলমন খান। ধর্মেন্দ্রও একটা সময়ের পর তাঁর পরিবার গুছিয়ে নিয়েছিলেন।
তাঁরা বিয়ে করেছিলেন একে অপরকে ভালবেসে। তাঁদের দুই কন্য সন্তানও রয়েছে। তবে ছেলের বিয়েতে আবারও ধর্মেন্দ্র পাশে প্রকাশকে দেখে আবার অনেকেই আবেগে ভাসলেন। ফিরল পুরোনো স্মৃতি। নাতির সঙ্গে দাদু-ঠাকুমার ছবি সকলের নজরের কেন্দ্রে জায়গা করে নিল। পরিবারের অনেকের সঙ্গেই এদিন নবদম্পতি ছবি তুলেছিলেন। ধীরে ধীরে এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সকল ছবি পোস্ট করার পালা। সেই তালিকাতেই রয়ে যায় এই বিরল দৃশ্যের ছবি।