তাঁদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। চণ্ডীগড়ের বিলাসবহুল ‘সুখ বিলাস’ হোটেলে বিয়ে করেছেন রাজকুমার রাও ও তাঁর দীর্ঘদিনের ভালবাসার সঙ্গী অভিনেত্রী পত্রলেখা পাল। বিয়ের যাবতীয় আয়োজন অত্যন্ত গোপন রেখেছিলেন রাজকুমার ও পত্রলেখা। তাঁদের সম্পর্ক নিয়েও খুব বেশি কথা বলেননি। বরাবরই কথা বলেছে তাঁদের নানা অনুভূতির ছবি। ফলে বিয়েতেও গোপনীয়তা বজায় রেখেছিলেন রাজকুমার-পত্রলেখা। করোনাকালের এই বিয়েতে আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিলেন অত্যন্ত কম অতিথির সংখ্যা। ইন্ডাস্ট্রি থেকেও ছিলেন হাতে গোনা কয়েকজনই। যেমন আমন্ত্রিত ছিলেন পরিচালক ও করিওগ্র্যাফার ফারহা খান কুন্দের।
রাজকুমার-পত্রলেখার বিয়েতে দারুণ আনন্দ করেছেন ফারহা। ছবি পোস্ট করেছেন বর-কনের সঙ্গে। লিখেছেন সুন্দর একটি ক্যাপশন, “যাঁর সঙ্গে থাকতে পারবে, তাঁকে তুমি বিয়ে করো না। তাঁকেই বিয়ে করো, যাঁকে ছাড়া তুমি থাকতেই পারবে না। রাজকুমার ও পত্রলেখার সুন্দর ও আবেগপ্রবণ বিয়ে। আগামীদিনটাও তোমাদের সে রকমই সুন্দরভাবে কাটুক। রাজু ও গোল্ডি, তোমাদের অনেক ভালবাসা।” এরপর তিনি হ্যাশট্যাগে লিখেছেন ‘গোল্ডেন কাপল’।
দীপিকা কিংবা অনুষ্কার মতো বিদেশের মাটিতে বিয়ে করেননি রাজকুমার-পত্রলেখা। পত্রলেখার বাড়ি শিলংয়ে। বেশ কয়েক বছর লিভ-ইন সম্পর্কে থাকার পর শেষমেশ রাজকুমার-পত্রলেখা ঠিক করেন বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হবেন। রাজকুমারকে অনস্ক্রিনেই প্রথম দেখেন পত্রলেখা। ‘এলএসডি’ ছবিতে। নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রাজকুমার। পত্রলেখা ভেবেছিলেন, ব্যক্তিগত জীবনেও হয়তো সেরকমই একজন মানুষ রাজকুমার। কিন্তু তেমনটা যে একেবারেই নয়, পরে বুঝতে পেরেছিলেন পত্রলেখা।
আর রাজকুমার তাঁকে প্রথম কোথায় দেখেছিলেন? পত্রলেখা জানান, এক বিজ্ঞাপনে তাঁকে প্রথম দেখেন রাজকুমার। রাজকুমার নাকি প্রথমবার দেখেই পত্রলেখাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন, এমনটাই জানিয়েছেন পত্রলেখা।
আরও পড়ুন: Rajkumar Rao Wedding: হাতে শাঁখা-পলা, তাক লাগানো ওড়নায় রাজকুমারকে ‘পরাণ ভরা ভালবাসা’ পত্রলেখার