সমাজে এমন অনেক কিছু কথিত রয়েছে, যার বাইরে বেরিয়ে জীবনটাকে নিয়ে ভাবার সাহস অনেকেি দেখান না। সেই তালিকায় পড়েন না ফারাহ খান। তিনি ভক্তদের উদ্দেশেও ঠিক সেই বার্তাই সাফ দিয়েছিলেন। একাধিকবার তাঁকে কটাক্ষের শিকার হতে হয় কখনও বিয়ে, কখনও সম্পর্ক নিয়ে। কিন্তু ফারাহ খান সেই বিষয় কান দিয়ে দমে যাওয়ার পাত্রী যে নন, তা এবার স্পষ্ট করে দিলেন। সামান্থা প্রভু অভিনীত এক সফট ড্রিঙ্কের বিজ্ঞাপন দেখে মুখ খুললনে ফারাহ খান। তিনি জানালেন, তাঁকেও এমন অনেক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে।
বিশেষ করে তিনি মেয়ে বলে। বিজ্ঞাপনটি শেয়ার করে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেন ফারাহ খান। শিরিষ কুন্দ্রার সঙ্গে ২০০৪ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন ফারহার খান। তবে সেই বিয়ের সম্পর্কের গভীরতা এখন যতই হোক না কেন, প্রথম বছর দমবন্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ফারাহর। সম্প্রতি মিকা সিং-এর সয়ম্বর সভায় উপস্থিত হতে দেখা যায় ফারাহকে। সেখানেই তিনি প্রতিযোগীদের নানা প্রশ্ন করেন। যার মধ্যে অন্যতম হল বিয়ের বয়স।
কথা প্রসঙ্গে উঠে আসে বিয়ের বয়স নিয়ে নানা মন্তব্য। একটি নির্দিষ্ট বয়সের পরই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয় বলে যিনি বিয়ে করেন, তাঁদের বিয়ে করার সিদ্ধান্ত ভুল বলেই স্পষ্ট জানান ফারহা। তিনি আরও বলেন, বিয়ের কোনও নির্দিষ্ট বয়স হয় না, মনের মত মানুষ পেলেই বিয়র পিঁড়িতে বসা উচিত। কারণ ফারহা নিজের জীবনে পরোখ করেছেন বিয়ের পর ঠিক কী কী সমস্যা হতে পারে। জানিয়েছিলেন, বিয়ের প্রথম বছরই তাঁর মনে হয়েছিল বিয়ে ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার কথা। কঠিন হয়ে গিয়েছিল মানিয়ে নেওয়া। সেই সুবাদেই তিনি সকলের উদ্দেশ্যে জানিয়ে ছিলেন, যে বিয়ের বিষয় হঠাৎ কোনও সিদ্ধান্ত না নিতে। মিকার সম্পর্কেও তিনি মন্তব্য করেন যে, মিকা খুব সেন্সিটিভ। একজন গোছানো মেয়েই পারবে ওঁকে সামলে রাখতে।