প্রেম, তারপর একপ্রকার সংগ্রাম করে বিয়ে। পরবর্তীতে দুই সন্তান নিয়ে সুখের সংসার। কিন্তু এখন আর এক ছাদের তলায় থাকেন না বলিউড সুপারস্টার ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনী। এবার এবিষয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী। বললেন, ‘এমন জীবন কেউ চায় না।’ এবিষয়ে আর কী বলছেন অভিনেত্রী?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে হেমাকে ‘নারীবাদীর প্রতীক’ আখ্যা দেওয়া হয়। কারণ তিনি বরাবর নিজের বাড়িতেই থাকেন। এর উত্তরে হেমা বলেন, “নারীবাদের প্রতীক! আসলে কেউ ঠিক এমনটা হতে চায় না। এটা হয়ে যায়। আর এটা মেনে নেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। প্রতিটি নারীই একটা স্বাভাবিক জীবন চান। যেখানে স্বামী, সন্তান সবাই থাকবে। তবে মাঝেমাঝে সবটা হাতের বাইরে চলে যায়।” তবে এবিষয়ে সেরকম কোনও খারাপ অনুভূতি নেই তারঁ। আরও যোগ করেন, “আমার তাতে কোনও খারাপ লাগা নেই। আমি নিজেকে নিয়ে খুব খুশি। আমার দুই সন্তান রয়েছে। ওরা এখন প্রতিষ্ঠিত। ওদের ভাল করে মানুষ করতে পেরেছি। যদিও উনি(ধর্মেন্দ্র)সবসময় আমাদের পাশে ছিলেন। চিন্তা প্রকাশ করতেন ঠিক সময়ে সন্তানদের বিয়ে নিয়ে। আমি বলতাম ঠিক সময় হলে সব হবে। ভগবানের আশীর্বাদে সব ভাল ভাবেই ঘটেছে।”
প্রসঙ্গত, ধর্মেন্দ্র তখন চার সন্তানের বাবা, তখনই তাঁকে মন দেন হেমা। এরপর একপ্রকার যুদ্ধ করেই প্রেমের সম্পর্ককে পূর্ণতা দিয়েছিলেন তাঁরা। ১৯৮০ সালে বিবাহ হয় ধর্মেন্দ্র-হেমার। কারণ ধর্মেন্দ্রর প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কউর বিবাহ বিচ্ছেদে রাজি ছিলেন না। ধর্মেন্দ্র ও প্রকাশের চার সন্তানও রয়েছে দুই ছেলে সানি দেওয়াল ও ববি দেওয়াল এবং মেয়ে বিজেতা ও অজিতা। পরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে একপ্রকার ফিল্মি কায়দায় হেমাকে বিয়ে করেন ধর্মেন্দ্র। দুই সন্তানও হয় তাঁদের এষা ও অহনা। তবে এক ছাদের তলায় নয় বরং দূর থেকেই সম্পর্ক টিকিয়ে রেখেছেন তাঁরা।