লেখাপড়ায় মেধাবী ছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত। অন্য অনেকের চেয়ে তাঁর চিন্তাভাবনা ছিল অন্যরকম। মুম্বইয়ে নিজের সি-ফেসিং ভাড়া বাড়িতে জানালার কাছে সাজিয়ে রেখেছিলেন টেলিস্টোপ। সেই উন্নতমানের টেলিস্কোপ থেকে তারাদের দেখতেন, গ্রহদের দেখতেন। মহাকাশের প্রতি ছিল তীব্র টান। সেই সঙ্গে ভালবাসতেন পদার্থ বিজ্ঞান। পাটনার ছেলে সুশান্ত। বিজ্ঞানের ছাত্র। ইঞ্জিনিয়রিং নিয়ে লেখাপড়া করেছিলেন। সকলে যাতে লেখাপড়া করতে পারে সেই দিকে ছিল তাঁর নজর। বাচ্চাদের উদ্বুদ্ধ করতেন অভিনেতা। তাঁর একটি ভিডিয়ো ভয়ানক জনপ্রিয় হয়েছে সম্প্রতি।
সেই ভিডিয়োতে প্রস্ফুটিত সুশান্তের টি-শার্ট। তাতে লেখা ফিজ়িক্সের একটি ফর্মুলা – d3s/dt3। নেটিজ়েনরা ভাবতে শুরু করেছেন এর অর্থাৎ কী হতে পারে। কী বলতে চেয়েছেন সুশান্ত। কিছু নেটিজ়েন সঠিক উত্তরও দিয়েছেন। বলেছেন, ‘d3s/dt3’-এর অর্থ রেট অফ চেঞ্জ অফ অ্যাকসিলারেশন, যাঁর অর্থ ‘জার্ক’ (jerk)। সুশান্তের টি-শার্টে লেখা ছিল দোন্ট বি আ ‘d3s/dt3′(don’t be a ‘d3s/dt3’)। অর্থাৎ, জার্ক হয়ও না।
টুইটারের একটি পেজ থেকে শেয়ার করা হয় এই ভিডিয়োটি। সেখানে প্রিয় অভিনেতার টি-শার্টে লেখা ফিজ়িক্স ফর্মুলার সঠিক মানে খুঁজতে থাকেন অনেকে।
২০২০ সালের ১৪ জুন তাঁর মুম্বইয়ের ভাড়া করা অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয় সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ। তারপর ঝড় বয়ে যায় বলিউডে। সুশান্তের রহস্য মৃত্যুর এখনও কিনারা হয়নি। একাংশ মনে করেন আত্মহত্যা করেছিলেন সুশান্ত। একাংশের বিশ্বাস তাঁকে খুন করা হয়েছিল। কেউ আবার ভাবতে শুরু করেন তিনি নেশা করেছিলেন। বলিউডে নেপোটিজ়মের কারণে সুশান্তের অনেক ছবি হাতছাড়া হয়, এমন কথাও শোনা গিয়েছিল।
কয়েকদিন আগে কুপার হাসপাতালের এক মর্গকর্মী বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, সুশান্ত খুনই হয়েছিলেন। তাঁর দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।