এই মুহূর্তে মুসলিমদের পবিত্র ধর্মীয় স্থান মদিনায় হিনা খান। কিছু দিন আগেই জীবনের প্রথম উমরাহের জন্য তিনি মুম্বই থেকে উড়ে গিয়েছিলেন সৌদি আরবে। সেখান থেকেই একের পর এক ছবি পোস্ট করছিলেন তিনি। আর তার জেরেই মারাত্মক ট্রোলের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। যে ছবি তিনি পোস্ট করেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, মাটিতে বসে একের পর এক পোজ দিয়ে ছবি তুলছেন তিনি। আর তাতেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। ত্যাগ, মোহ-মায়াকে বিসর্জন দিয়ে এই পবিত্র ধর্মীয় যাত্রা। নিজেকে নায়িকা মনে করে ‘পরীর মতো পোজ’ দেওয়ায় উড়ে এসেছে কটাক্ষ। একজন লিখেছেন, “এই জন্য উমরাহ গিয়েছেন, লজ্জা হওয়া উচিৎ”। অন্যজনের বক্তব্য, “এটা কি বিজনেস ট্রিপ? যে পুণ্যের জন্য গিয়েছে তা আদপে মিলবে তো?” এখানেই কিন্তু শেষ হয়নি। কমেন্ট এসেছেন, “মালদ্বীপ, লন্ডন, সুইটজারল্যান্স আর এখন এই। মক্কা মদিনা, বৈষ্ণবদেবী এখন ফটোশুটের আখড়া হয়ে গিয়েছে।” আর এর পরেই এক বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হিনা। বন্ধ করে দিয়েছেন ইনস্টাগ্রামে তাঁর কমেন্ট বক্স। পবিত্র সময়ে জীবনে নেতিবাচকতা থেকে দূরে থাকতেই এমন সিদ্ধান্ত তাঁর। কিন্তু ট্রোল হয়ে চলেছে। ইতিমধ্যেই যে ওই ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
জীবনে এই প্রথমবার হিনা গিয়েছেন সেখানে। সঙ্গে গিয়েছে তাঁর পরিবার। কিন্তু গিয়েই পড়তে হয়েছে বিপদের মুখে। মা’র পায়ের অবস্থা এমনটাই বাড়াবাড়ি পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে যে হুইলচেয়াল ছেড়ে উঠতেই পারছেন না তিনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রথমে মক্কা, এরপর মদিনা গিয়েছেন হিনা। ছবি নিয়ে কটাক্ষ হলেও তাঁর ছবি শেয়ার করার পরিমাণ কিন্তু কমেনি। গত বছর রমজানের সময়েই হিনা খানের সঙ্গে ঘটে যায় এক খারাপ ব্যাপার। বাবাকে হারান তিনি। আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে যান তিনি।
ভেঙে পড়েছিলেন হিনা। বাবাই ছিলেন তাঁর বন্ধু। অভিনেত্রী হওয়ার জন্য তিনি যখন মুম্বইয়ে আসেন সে খবর বাড়িতে একমাত্র জানতেন তাঁর বাবাই। মা-সহ পরিবারের অন্যান্যরা জানতেন তিনি দিল্লিতে রয়েছেন চাকরির সুবাদে। বাবা তাঁর কাছে ছিলেন এমনই ভরসার জায়গা। হিনা বলেছিলেন, “যখনই মা আমার উপর রেগে যায় আমি পুরো দোষ বাবার কাঁধে চাপিয়ে দিই।” তবে সেই শোক কাটিয়ে আবারও তিনি ফিরে এসেছেন স্বাভাবিক জীবনে। এরই মধ্যে এই ট্রোলিং। একেবারেই খুশি নন তাঁর ভক্তরা।