খুব রেগে গিয়েছেন আমির খান। খু-উ-উ-উ-ব। রাগে লাল হয়ে গিয়েছেন রুপোলি পর্দার লাল সিং চাড্ডা। প্রচণ্ড আক্ষেপও করেছেন তিনি। এর কারণ বলিউডের কিছু কনটেন্ট। ২০২২ সালে মুক্তি পেয়েছিল তাঁর অভিনীত এবং প্রযোজিত (আংশিক) ‘লাল সিং চাড্ডা’। হলিউড ছবি টম হ্যাঙ্কসের ‘ফরেস্ট গাম্প’-এর হিন্দি সংস্করণ ছিল ছবিটি। কিন্তু তাতে কী। মুথ থুবড়ে পড়েছিল হিন্দি ফরেস্ট গাম্প, থুড়ি ‘লাল’। তারপর থেকে হতাশার পৃথিবীতে মুখ লুকিয়েছিলেন ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’।
কখনও হেরে যেতে শেখেননি আমির খান। সেই ‘না-হেরে যাওয়া’ মানুষটার ছবি যদি মাটিতে লুটোপুটি খায়, মানতে কি পারবেন? কখনওই না। মানতে পারেনওনি। নিন্দুকেরা বলছে, মনের মধ্যে নাকি হিংসাও পুষতে শুরু করেছেন আমির। যখন দেখছেন অন্যদের ছবি বক্স অফিস কাঁপাচ্ছে, তিনি ঠোঁট উল্টোচ্ছেন।
এবার নীরবতা ভাঙলেন আমির। মুখ খুললেন এবং বেরিয়ে এল বিতৃষ্ণা। সম্প্রতি ‘অ্যানিম্যাল’ ছবিকে ধিক্কার জানিয়েছেন আমির। ১ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা রণবীর কাপুরের মধ্যে এক ‘আলফা মেল’কে (অতিরিক্ত পুরুষালি) দেখিয়েছেন। ছবি জুড়ে বাঁধে রক্তারক্তি কাণ্ড। রয়েছে যৌনতা। এই ছবির একটি বিশেষ দৃশ্যে সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে অভিনয় করেছেন রণবীর কাপুর। আর এসব দেখেই ক্ষেপেছেন আমির (যদিও তিনিও রাজকুমার হিরানী পরিচালিত ‘পিকে’ ছবিতে সম্পূর্ণ নগ্ন হয়েছিলেন। সেই ছবির শেষে নগ্ন রণবীরকেও দেখা যায়)। তিতিবিরক্ত হয়ে আমির বলেছেন, “খালি যৌনতা আর হিংসা। এই দুটিকেই ট্রাম্প কার্ড হিসেবে ব্যবহার করছে সিনেমা নির্মাতারা। তাতেই হাজার-হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করছে হিন্দি ছবি। বলতে বাধ্য হচ্ছি, পরিচালকেরা যখন কোনও ভাল গল্প দর্শককে বলতে পারেন না, এই ধরনের সস্তার পথ অবলম্বন করে পয়সা তোলার ফন্দি আঁটেন।”