সম্প্রতি দেশে ফের বাড়তে শুরু করেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ফের চোখ রাঙাতে শুরু করেছে কোভিড-১৯। অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন এই মুহূর্তে। ফলে করোনার বুস্টার ডোজ় নিতে বলা হচ্ছে বারবার। বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ়ের ব্যবস্থা করেছে সরকার। বারবার বলা হচ্ছে, করোনা মোকাবিলা করতে এই ডোজ় নেওয়া অতি অবশ্যক। অনেকের মতো বুস্টার ডোজ় নিয়েছেন রাখি সাওয়ান্তও। তিনি নাকি একেবারেই ভাল নেই এই ডোজ় নিয়ে। তাঁর নাকি রাতের ঘুমই উড়ে গিয়েছে। এয়ারপোর্টে পাপারাৎজ়িদের তিনি যা বলেছেন, তা শুনে সকলের মাথায় হাত।
১৫ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বিনামূল্যে বুস্টারের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই কর্মসূচির ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র। কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন, দুই ধরনেরই টিকা দেওয়া হচ্ছে বিনা পয়সায়। এবং বারংবার এটাই জানানো হয়েছে বুস্টার ডোজ়ে অনীহা ডেকে আনতে বিপদ। করোনার চতুর্থ ঢেউয়ে মৃত্যুর হার কমাতে এই সরকারি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বুস্টার ডোজ়কে রাখির মনে হয়েছে ‘ভায়াগ্রা’ (যৌন উত্তেজক ড্রাগ)…
এয়ারপোর্টে পাপারৎজ়ির মুখোমুখি হন রাখি সাওয়ান্ত। তিনি বলেছেন, “মোদীজি আমার জীবন নষ্ট করে দিলেন।” অভিনেত্রীর মুখে এমন কথা শুনে অবাক সাংবাদিকরা। তাঁকে কারণ জিজ্ঞেস করায় রাখি বলেছেন, “আমি দু’রাত ঘুমাইনি। যবে থেকে বুস্টার ইনজেকশন নিয়েছি, রাতে ঘুমোতে পারিনি। বুক ধড়ফড় করছে আমার। আমার শরীর, ডিএনএ অদ্ভুত অদ্ভুত জিনিস চাইছে। হরয়ান হয়ে গিয়েছি। আমার তো মনে হচ্ছে এটা ভায়াগ্রা…”
বুস্টার ডোজ় নিয়ে ‘ভায়াগ্রা’ প্রভাব! অবাক সাংবাদিকরা রাখির কথার মাঝে কথা বলে ফেলেন। রাখি তাঁদের ধমকে বলেন, “আপনারা কথার মাঝে কথা বলবেন না প্লিজ়। বুস্টার নিয়ে আমি অসুবিধার মধ্যে আছি। আমার শরীরটা কেমন-কেমন করছে। আপনারা দেখুন, আমার মুখ ফুলে গিয়েছে। ঘুমোতে পারছি না। দিনে আধ-ঘণ্টাও ঘুমোতে পারছি না। আমার অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গিয়েছে। মনে হচ্ছে, এই বুস্টার ইনজেকশন ৭০ বছরের বেশি বয়সিদের নেওয়াই উচিত না। আপনারা হাসবেন না প্লিজ়।”