‘নো অ্যাক্টিং’-এর শেষ কথা হয়ে উঠেছেন। পর্দায় চাবুকের মতো তাঁর উপস্থিতি। চোখ ফেরানো কঠিন। এহেন আলিয়া ভাট ছোটবেলাতেই ‘কৌন বানেগা ক্রোড়পতি’তে বলেছিলেন, তিনি অভিনেত্রী ছাড়া আর কিছুই হতে চান না। একরত্তি বয়সে দৃঢ়তা ধরা পড়েছিল তাঁর কণ্ঠে। ক’জনেরই বা থাকে।
তাঁর প্রথম ছবি করণ জোহর পরিচালিত ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’। মুক্তির পর আলিয়ার মধ্যে তুখোড় অভিনেত্রীসুলভ লক্ষণ ধরা পড়েনি ঠিকই। কিন্তু ধরা পড়েছিল দ্বিতীয় ছবি ‘হাইওয়ে’তে। বড়লোক বাড়ির মেয়ের অপহরণের কাহিনি। যে অপহরণ বাঁধন ছিন্ন করেছিল। শিশু নির্যাতনের ঘটনা বর্ণনা করার দৃশ্যে প্রথম আসল আলিয়াকে আবিষ্কার করে বলিউড, তথা গোটা দেশ। সেদিনই এক অভিনেত্রীর জন্ম হয়। কেবল ওই দৃশ্যে নয়। গোটা ছবিতেই ছড়িয়ে ছিল আলিয়ার নো-অ্যাক্টিংয়ের নিদর্শন।
এই ‘হাইওয়ে’ই আলিয়ার সিনেমা সফরের সুরক্ষিত যাত্রাপথ নিশ্চিত করে। একের পর এক ছবিতে অভিনয় করেছেন ভাট সাহেবের কন্যা। তালিকায় রয়েছে ‘উড়তা পঞ্জাব’, ‘ডিয়ার জিন্দেঙ্গি’, ‘রাজ়ি’, ‘গাল্লি বয়’-এর মতো অসংখ্য ছবি। মহেশ ভাটের কন্যা হওয়ার পরিচয়ের বাইরে নিজের স্বতন্ত্র পরিচয় রচনা করেছেন ‘মিষ্টি’ দেখতে মেয়েটি। ‘আলিয়া ভাটের বাবা মহেশ ভাট’, কথাটি বলতে গিয়ে চোখের জল ফেলেছিলেন মহেশ। আনন্দে। গর্বে।
এই মুহূর্তে প্যান-ইন্ডিয়া ছবিতে কাজ করছেন আলিয়া। ‘ব্রহ্মাস্ত্র’, ‘আরআরআর’, ‘গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ি’, ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’র মতো ছবি মুক্তির অপেক্ষায়। প্রেমিক রণবীর কাপুরকে বিয়ে করে সংসারী হওয়ার স্বপ্নও দেখছেন আলিয়া। কাপুর পরিবারের নয়নের মণি হয়ে উঠেছেন অল্প সময়ের মধ্যেই। আলিয়াকে কে না ভালবাসেন? যেখানেই যান, ভালবাসা কুড়িয়ে আনেন। অনেকেই হয়তো ভাবেন, স্টারসুলভ আলিয়াও। তা একেবারেই নয়। আমরা বলছি না। বলছে আলিয়ার ইনস্টাগ্রাম। প্রিয় পোষ্য বিড়াল পিকাই তাঁর সর্বক্ষণের সঙ্গী। পিকাকে নিয়ে কাটিয়ে দেন অবসর। নিজের ঘরে পিকার সঙ্গে উপুড় হয়ে শুয়ে ফটো পোস্ট করেছেন। লিখেছেন, “এটাই আসল আমি।”
আমাদের পাশের বাড়ির মেয়েটিও তো তাই-ই। স্টার হতেই পারেন। রক্তমাংসের ‘সাধারণ’ মেয়ে আলিয়াও বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে সেলফি তোলেন। পোস্ট করে বসেন সামাজিক মাধ্যমে। তাতে রিপ্লাই আসে মায়ের, “ওহ্ এডি ইন দ্যা বেডি উইথ বার্ডি (Oh Eddie in the beddie with Birdie)…”
আরও পড়ুন: Taimur Ali Khan Birthday: ‘আমার টিম টিম.. তোমার মতো কেউ নেই’, তৈমুরের জন্মদিনে করিনার মনের কথা