এখনও পর্যন্ত অনেকে বিশ্বাস করেন, বচ্চন পরিবারে বিয়ে করার জন্য একটি গাছকে বিয়ে করতে হয়েছিল ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে। তিনি নাকি মাঙ্গলিক। তাই মঙ্গলের দশা কাটানোর জন্য গাছের সঙ্গে বিশ্ব সুন্দরীর বিয়ে দিয়েছিল অভিষেক বচ্চনের পরিবার। আজ ৫০ বছর বয়সে পা দিলেন ঐশ্বর্য। বিশ্ব সুন্দরীর একটি পুরনো ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তিনি গাছকে বিয়ে করার প্রসঙ্গকে নস্যাৎ করছেন। বিষয়টিকে সম্পূর্ণ রটনা বলেছিলেন ঐশ্বর্য। বলেছিলেন যে, অভিষেকের সঙ্গে তাঁর বিয়ের সময় এমন কথা ছড়ানো হয়। এবং আরও দুঃখের ঘটনা যা ঘটে তা হল, আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমও তাঁকে এই প্রশ্ন করেছেন এবং জিজ্ঞেস করেছেন তিনি অভিশপ্ত কি না।
ঐশ্বর্য বলেছিলেন, “বিষয়টা খুবই শকিং। এই ধরনের প্রশ্ন আমাকে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম কর্মীরাও করেছেন। তাঁরা আমাকে জিজ্ঞেস করতেন, ‘তুমি কি একটি গাছকে বিয়ে করেছ? তোমার উপর কি কোনও অভিশাপ ছিল? আমি বুঝতে পারতাম না কোথা থেকে শুরু করব।”
কেবল ঐশ্বর্য নন, তাঁর স্বামী অভিষেক বচ্চনও বিষয়টিতে বিরক্ত ছিলেন। ২০১৬ সালে টুইট করেছিলেন তিনি। তাতে লিখেছিলেন, “আমরা এখনও সেই গাছটিকে খুঁজে চলেছি”। অমিতাভ বচ্চন ২০০৭ সালে টাইমস নিউইয়র্কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “সেই গাছটা কোথায় আমাকে দেখান তো। যাঁকে আমার পুত্রবধূ ঐশ্বর্য বিয়ে করেছেন, তিনি আমার পুত্র অভিষেক। নিশ্চয়ই আপনারা তাঁকে ‘গাছ’ ভাবছেন না।”
১৯৯৪ সালে প্রথম ভারতীয় হিসেবে বিশ্ব সুন্দরীর মুকুট ওঠে ঐশ্বর্য রায়ের মাথায়। তারপর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি ঐশ্বর্যকে। বিশ্বসুন্দরী হওয়ার পরই অভিনয়ের সুযোগ ঘটে তাঁর। প্রথমে দক্ষিণী ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। তারপর পদার্পণ করেন বলিউডে। শুরুতে ‘জিন্স’, তারপর ধীরে-ধীরে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’, ‘দেবদাস’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেন ঐশ্বর্য। তাঁর শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি মণিরত্নমের ‘পন্নিইন সেলভান’।