ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে চিরকাল স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে অভিনেতা ইরফান খানের নাম। তিনি এই পৃথিবী থেকে চলে গিয়েছেন দু’বছর আগে। ২০২০ সালে তাঁর মৃত্যু ঘটে ক্যান্সারের কারণে। কিন্তু আজও স্বজন হারানোর মতোই ব্যথায় তাঁর অনুরাগীরা। পর্দায় দারুণ কঠিন চরিত্রদের ফুটিয়ে তুলেছিলেন ইরফান। কিন্তু তাঁর ড্রিম রোল আজও অধরাই রয়ে গিয়েছে। কবি সাহির লুধিয়ানভির চরিত্র অভিনয় করতে চেয়েছিলেন ইরফান। কিন্তু সেই সুযোগ তিনি পাননি। তাই নিয়ে দুঃখও ছিল।
জীবিত অবস্থায় ইরফান শুনেছিলেন সঞ্জয় লীলা ভনসালী তৈরি করছেন সাহিরের বায়োপিক। সেই রোলে নাকি তিনি ঠিক করেছিলেন নেবেন অভিষেক বচ্চনকে। বিষয়টা ভাল লাগেনি ইরফানের। তিনি মনে করেছিলেন, কেউ যদি পর্দায় সাহিরকে তুলে ধরে পারেন, তা হলে সেই ব্যক্তি তিনি ছাড়া অন্য কেউ নন। ইরফান বলেছিলেন, “আমিই একমাত্র সাহিরের চরিত্রটা ফুটিয়ে তুলতে পারি স্ক্রিনে। জানেন কী, তিনি আসার আগে রোম্যান্টিক গান অন্যভাবে লেখা হত। তারপর তিনি এলেন এবং সবকিছু পাল্টে গেল। তিনিই লিখেছিলেন, ‘ম্যানে তুমসে হি নেহি সবসে মহব্বত কি হ্যায়’। গানটি ছিল ‘দিদি’ ছবিতে। স্বাধীনতার পরের প্রজন্মের জন্যই গান লিখেছিলেন সাহির। কিন্তু আমরা তা বজায় রাখতে পারলাম না। পাশ্চাত্যকেই আলিঙ্গন করলাম শেষমেশ। মুখ থুবড়ে পড়ল সাহিরের স্বপ্ন।”
সঞ্জয় লীলা ভানসালী যখন জানতে পেরেছিলেন যে, ইরফান খান সাহিরের চরিত্রটি করতে আগ্রহী, তিনি খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু অভিষেককে আগে থেকেই কথা দিয়ে রেখেছিলেন বলে ইরফারকে কাস্ট করতে পারেননি। তবে এ কথাও সত্যি সাহিরের বায়োপিকও অধরাই থেকে গিয়েছে। সেই ছবির কাজ আজও শুরু হয়নি।