AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হোক’, টুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড হওয়ার পর ফেসবুকে কান্নায় ভেঙে পড়লেন কঙ্গনা

ঠিক কী কারণে বন্ধ করা হল কঙ্গনার অ্যাকাউন্ট? পশ্চিমবঙ্গে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরেই সরব হয়েছিলেন কঙ্গনা। শেয়ার করছিলেন একের পর এক টুইট। কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'রাবণ' আবার কখনও বা তাঁর নিশানায় ছিল এনআরসি এবং সিএএ।

'বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হোক', টুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড হওয়ার পর ফেসবুকে কান্নায় ভেঙে পড়লেন কঙ্গনা
কান্নায় ভেঙে পড়লেন কঙ্গনা
| Updated on: May 04, 2021 | 6:23 PM
Share

বন্ধ করে দেওয়া হল কঙ্গনা রানাওয়াতের টুইটার অ্যাকাউন্ট। টুইটারের তরফে জানানো হয়েছে বারণ করা সত্ত্বেও কঙ্গনার বারংবার বিদ্বেষমূলক মন্তব্য এবং টুইটার পলিসির বিরুদ্ধে গিয়ে অবমাননাকর আচরণের জন্যই এমন পন্থা বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে সংস্থা। যদিও কঙ্গনা চুপ করে থাকেননি। টুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করে দেওয়ার পরেই ফেসবুকে এক ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। সেই ভিডিয়োতে টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার আবেদন করেছেন অভিনেত্রী।

ঠিক কী কারণে বন্ধ করা হল কঙ্গনার অ্যাকাউন্ট? পশ্চিমবঙ্গে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরেই সরব হয়েছিলেন বিজেপি সমর্থক কঙ্গনা। শেয়ার করছিলেন একের পর এক টুইট। কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘রাবণ’ আবার কখনও বা তাঁর নিশানায় ছিল এনআরসি এবং সিএএ । এক টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে কঙ্গনা লেখেন, ” ২০১৯ সালের পর মমতাদিদি আহত বাঘের মতো ফিরে এসেছে, কেন্দ্রকে হুমকি দিয়েছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাঁর হেলিকপ্টার থেকে নামতে দেননি, সিএএ/এনআরসি বন্ধ করে দিয়েছেন,বিজেপি কর্মীদের হত্যা করেছেন, খোলাখুলি গুন্ডামি করেছেন, এবং মোদীকে সতর্কবাণী দিয়ে বলেছেন আসুন, খেলা হবে। তিনি প্রকাশ্যে শরণার্থী জড়ো করে তাঁদের আরও ভোটার কার্ড দিয়েছেন…।”


এখানেই শেষ নয় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ এনে ‘#বেঙ্গলইজবার্নিং’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে বেশ কয়েকটি টুইটও শেয়ার করেন তিনি। এর পরেই টুইটারে তরফে বন্ধ করে দেওয়া হয় তাঁর অ্যাকাউন্ট। যদিও সংবাদ সংস্থা এএনআইকে কঙ্গনা জানিয়েছেন, “টুইটার ছাড়াও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে যেখানে আমি যা বলতে চাইছি তা বলতে পারব। যদি সেটাও সম্ভব না হয় তাহলে আমার নিজের কৃষ্টি, আমার সিনেমার মধ্যে দিয়ে তা আমি বলব।”

আরও পড়ুন-সোনু সুদ একজন ‘প্রতারক’! টুইটে লাইক দিলেন কঙ্গনা রাণাওয়াত

ফেসবুকে যে ভিডিয়োটি কঙ্গনা শেয়ার করেছেন তাতে তাঁকে বলতে দেখা যাচ্ছে, “বাংলা থেকে খারাপ খবর আসছে। মানুষের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গণধর্ষণ হচ্ছে, খুন হচ্ছে। কেউ কিছু বলছে না। আমি বুঝতে পারছি না হিন্দু রক্ত কি এতটাই সস্তা। কীসের ষড়যন্ত্র?” পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি তিনি যে ‘হতাশ’ তা ব্যক্ত করে কঙ্গনা বলেন, “আপনারা বাংলায় হওয়া ঘটনার নিন্দা করতে চাইছেন, ধর্না করতে চাইছেন কিন্তু দেশদ্রোহীদের এতটা ভয় পেয়ে গেলেন আপনারা রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার কথা ভাবছেন না?”

যদিও এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই ট্রোল্ড হয়েছেন কঙ্গনা। অনেকেই কমেন্ট বক্সে তাঁকে কটাক্ষ করে লিখেছেন, “আপনি আপনার রাজ্যের কথা ভাবুন, বাংলায় কী হচ্ছে তা নিয়ে আপনাকে মাথা না ঘামালেও চলবে।” কঙ্গনার সমর্থনেও জড়ো হয়েছে কমেন্ট।