২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই কি অন্য ধাঁচের গল্প বলতে চলেছে ছবি ‘ইমার্জেন্সি’? সম্প্রতি বলিউডের ছবি ঘিরে শুরু হয়েছে এমনই নানাবিধ জল্পনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই যা নজরে পড়ছে। কঙ্গনা রানাওয়াত অভিনীত ছবি ‘ইমার্জেন্সি’ তাঁর কেরিয়ারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছবি। কেবল অভিনয় নয়, তিনি এই ছবির প্রযোজকও বটে। ইন্দিরা গান্ধীর বায়োপিক বলা চলে এই ছবিকে। যেখানে ভারতের ‘ইমার্জেন্সি’ অধ্যায় এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠবে। ইতিমধ্যেই ছবির ট্রেলার দর্শক মহলে প্রশংসিত। ইন্দিরা গান্ধীর লুকে কঙ্গনা সকলের নজর কেড়েছেন। তবে এবার ছবি ঘিরে শুরু হল বিতর্ক। ছবি মুক্তিতে এখনও অনেকটা সময় বাকি। এরই মাঝে এক শ্রেণির দাবি, এই ছবি নরেন্দ্র মোদী তথা কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রাধান্য দিতে বানানো হচ্ছে। এই ছবির মাধ্যমে নাকি কংগ্রেসকে খাটো করে দেখানো হবে, যা লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদী সরকারের আছে এক মোক্ষম অস্ত্র হয়ে দাঁড়াবে, মত একাংশের নেটিজ়েনদের।
সম্প্রতি এই প্রশ্ন সরাসরি পৌঁছে গেল অভিনেত্রীর কাছে। যদিও প্রশ্ন শুনে বিন্দুমাত্র বিচলিত হলেন না কঙ্গনা রানাওয়াত। তিনি জানিয়ে দিলেন, এই ছবি লোকসভা নির্বাচনের আগে কোনও ‘প্রপাগ্যান্ডা’মূলক ছবি নয়। তিনি অনুরোধ করেছেন, আগে ছবিটা দেখুন। তারপর স্থির করা হোক, যে এই ছবি কোনও কিছুর প্রচার করছে কি না। তাঁর কথায়, “এই ছবিতে এক মহিলা তাঁর সারা জীবনে কী ভাল-খারাপ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কীভাবে এগিয়ে গিয়েছেন, সেই গল্পই বলবে।” একভাবে এই ছবি মোদী সরকারের কাছেও গর্বের, মত বিতর্কিত বলিউড নায়িকার। এই ছবিতে কংগ্রেসকে মোটেও খাটো করে দেখানো হয়নি বলেই দাবি করেন তিনি।
যদিও নেটদুনিয়ার একাংশ তা মেনে নিতে নারাজ। কারণ একটাই, অনেকেই মনে করছেন যে এই ছবি বিজেপি-ঘেঁষা। তাই-ই এই ছবি নির্বাচনের আগে ‘প্রপাগ্যান্ডা’র ভূমিকা পালন করবে। যদিও কঙ্গনা এই দাবি ভুয়ো বলে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন। নেটদুনিয়ার স্পষ্ট ইঙ্গিত, কেন্দ্র সরকারের প্রিয় পাত্রী কঙ্গনা। তিনি যে বেশ বিজেপি সরকার-ঘেঁষা, তা অনেকেই জানেন। যদিও ব্যক্তিগত আদর্শ ও ছবির দর্শন, এই দুইকে আলাদা করে রাখাটাই সেলেবদের মূল লক্ষ্য়। এক্ষেত্রেও তিনি তেমনটাই করেছেন বলে কঙ্গনা জানিয়েছেন সাক্ষাৎকারে।