সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) মৃত্যই যেন ভিতর থেকে নাড়িয়ে দিয়ে গিয়েছিল বলিউডকে। একাধিক অন্দরমহলের অন্ধকার অধ্যায় পলকে সকলের সামনে খোলা বইয়ের মতো হাজির হতে শুরু করেছিল একের পর এক স্টারকাস্টদের বয়ানে। যার মধ্যে অন্যতম বিষয় ছিল নেপোটিজ়ম। একাধিকের অভিযোগ ছিল বিটাউনে স্বজন পোষণ দিয়েই চলছে কাজ। বহিরাগতরা চট করে নিজের জায়গা তৈরি করে নিতে পারছে না বলেই সুশান্তের এমন পরিণতী। আর তার ঠিক কিছুদিনের মধ্যেই খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছিলেন কার্তিক আরিয়ান (Kartik Aaryan)। বাদ পড়ছিলেন একের পর এক ছবি থেকে। করণ জোহরের (Karan Johar) সঙ্গে বিবাদের জেরে সরে যেতে হয়েছিল সলমন খানের প্রযোজনা সংস্থা থেকেও। রীতিমত কার্তিককে নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত। প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন, সুশান্তের পথেই ঠেলে দেওয়া হচ্ছে কার্তিক আরিয়ানকে।
যদিও হার মানতে নারাজ কার্তিক। ঘুরে দাঁড়াবেন এই অঙ্গীকারেই বলিউডে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন তিনি। একটা সময়ের পর কার্তিক আরিয়ানের ঝুলিতে থাকা ছবি ভুল ভুলাইয়া ২-র কাজ শুরু হয়। ছবির ট্রেলার মুক্তিতেও নেটিজ়েনরা তাঁকে কোণঠাঁসা করেছিলেন। কেউ লিখেছিলেন- ‘বিগ স্টারদের ফেলে দেওয়া ছবি করছেন তিনি’। কেউ কেউ লিখেছিলেন- ‘অক্ষয়ের পরিবর্তে কার্তিককে মেনে নেবে না দর্শকেরা’। তবে পর্দায় সমীকরণ যায় পাল্টে। ছবি মুক্তি পাওয়া মাত্রই তা ঝড়ের গতিতে ভাইরাল। মন্দার বাজারেও ২০০ কোটির ক্লাবে জায়গা করে নিয়েছিল ‘ভুল ভুলাইয়া ২’। ফলে বলিউডে বাড়ছে তাঁর চাহিদা। এই গ্রাফ দেখেই কি তবে করণ জোহরের অভিমান কমছে! প্রশ্ন সিনেপাড়ার একশ্রেণীর।
এরই মাঝে কফি উইথ করণ শো-তে বেশ কিছু সেলেব ‘হাই করণ’ কলে কার্তিক আরিয়ানকে ধরেন। যদিও করণ জোহর পাল্টা উত্তর দিতে সংকোচ করেননি। তখন থেকেই বিষয়টা স্পষ্ট হতে শুরু করে, গলছে অভিমানের বরফ। অবশেষে কার্তিকের আগামী ছবি শেহজাদা-র ট্রেলার মুক্তি পেতে সরাসরি কার্তিককে নিয়ে মুখ খুললেন করণ জোহর। বললেন, ”মশলা ভরপুর, বিনোদনের জোরদার তরকা, শুভেচ্ছা টিম শেহজাদা।”