kareena kapoor khan: জন্মদিনে নিজেকে কী প্রমিস করলেন করিনা?
kareena kapoor khan: গতকাল দিনভর ভার্চুয়াল মাধ্যমে করিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির বহু সদস্য। তালিকায় রয়েছেন অনুরাগীরাও।
মালদ্বীপ। বহু সেলেবের মতো করিনা কাপুর খানেরও পছন্দের ট্রাভেল ডেস্টিনেশন। কিছুদিন আগেই দুই ছেলেকে নিয়ে সইফ আলি খানের জন্মদিন সেলিব্রেট করতে মালদ্বীপ গিয়েছিলেন তিনি। জেহর ছয় মাসের জন্মদিনও সেখানেই সেলিব্রেট করেন তাঁরা। গতকাল অর্থাৎ ২১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ছিল তাঁর জন্মদিন। আর এ বারও গন্তব্য সেই মালদ্বীপই।
গতকাল দিনভর ভার্চুয়াল মাধ্যমে করিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির বহু সদস্য। তালিকায় রয়েছেন অনুরাগীরাও। গতকাল পরিবারকে তিনি ব্যস্ত ছিলেন বেবো। আজ অর্থাৎ বুধবার সেলিব্রেশনের একটি ছবি সোশ্যাল ওয়ালে শেয়ার করেছেন তিনি।
করিনার শেয়ার করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে মালদ্বীপের সমুদ্র সৈকতে কিছুটা দূরত্বে সইফের পাশাপাশি হেঁটে যাচ্ছে তৈমুর। আর পিছনে জেহকে কোলে নিয়ে করিনা। বিচে স্ট্যান্ড করে হ্যাপি বার্থডে লেখাটি জ্বলজ্বল করছে। করিনা ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘কিপ দ্য ফায়ার বার্নিং… বার্থডে প্রমিস টু মাইসেল্ফ’। অর্থাৎ জন্মদিনে নিজের কাছেই এই প্রমিস করলেন নায়িকা।
View this post on Instagram
দুই ছেলের নাম নিয়ে যে বিতর্ক চলেছে তা নিয়েও মুখ খুলেছেন করিনা। ইতিহাস বলছে, নুরুউদ্দিন মহম্মদ সেলিম বা জাহাঙ্গীর ছিলেন মুঘল সাম্রাজ্যের চতুর্থ সম্রাট। তিনি ১৬০৫ সাল থেকে তার মৃত্যু অবধি ১৬২৭ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেন। এর আগে প্রথম সন্তানের নাম তৈমুর রাখা নিয়ে সমালোচিত হয়েছিল কাপুর ও খান পরিবার। অত্যাচারী শাসক তৈমুরের নামে কী করে ছেলের নামকরণ হতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। জাহাঙ্গীরের বেলাতেও অন্যথা হয়নি। করিনার কথায়, “আর কোনও উপায় নেই। আমায় ধ্যান করতে হবে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। একটি মুদ্রায় দুটি পিঠ। পজেটিভ-নেগেটিভ। এই দুই নিষ্পাপ শিশুকে নিয়ে কথা হচ্ছে। তবে হ্যাঁ আমি খুশি থাকব ও একই সঙ্গে পজেটিভ থাকব।”
নিজের লেখা ‘করিনা কাপুর খানস্ প্রেগন্যান্সি বাইবেল’ বইতে শুধু ছেলের নামই ফাঁস করেননি করিনা। জানিয়েছেন সন্তান গর্ভে আসার পর শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তনের নানা কথাও। সেই পরিবর্তন নিজের জীবনে কীভাবে সামলেছেন করিনা, সে সবই এই বইয়ের মাধ্যমে শেয়ার করেছেন তিনি। হবু মায়ের কেমন ডায়েট প্রয়োজন, কতটা ওয়ার্কআউট আসন্ন সন্তানের জন্য ভাল, সে সব সাজেশনও দিয়েছেন তিনি। করিনা আরও জানিয়েছেন, সন্তান জন্ম নেওয়ার পর যে স্ট্রেচ মার্কস হয় তা নয়ে বেশ চিন্তায় ছিলেন তিনি। সমস্যার এখানেই শেষ নয়, সন্তান জন্ম নেওয়ার আগেই বাচ্চার জন্য একগাদা শপিং করা তাঁর যেন অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। ভালবাসা জন্মেছিল পিৎজার প্রতিও। বহুবার বহু মানুষ তাঁকে প্রশ্ন করেছেন, “আমি কি তোমার বেবিবাম্প ছুঁয়ে দেখতে পারি?”
অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে দিয়েও যেতে হয়েছে করিনা কাপুর খানকে। করিনা জানিয়েছেন এমন অনেক সময় হয়েছে তিনি হাসছেন, খুব হাসছেন কিন্তু হঠাৎ করেই কান্না পেয়ে গিয়েছে ওই হাসির মুহূর্তের মাঝেই। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ‘মুড সুইং’ স্বাভাবিক বিষয়, করিনাও তার ব্যক্তিক্রম নন। আবার হাঁচতে গিয়ে প্রস্রাব হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে তাঁর সঙ্গে। এ সবই বইতে বিশদে লিখেছেন করিনা।
আরও পড়ুন, Dev: ‘হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী’ কি রাজনৈতিক ছবি? দেব কী বললেন?