করিনা কাপুরের হাতে ধরা সোনোগ্রাফির ছবি। সেখানে শিশুর আগমন বার্তা স্পষ্ট। এমনই ছবি সোশ্যাল ওয়ালে শেয়ার করে করিনা লিখেছেন, ‘উত্তেজক কিছু একটা কাজ করছি… কিন্তু আপনারা যেটা ভাবছেন তা নয়। আরও জানার জন্য নজর রাখুন। কামিং সুন’। এই ছবি দেখে অনেকেই সন্তান আগমনের কথাই ভাববেন। তা যে নয়, তা আগেভাগে স্পষ্ট করে দিয়েছেন বেবো। কিন্তু তা হলে কীসের জন্য এত উত্তেজিত নায়িকা?
ওই পোস্টের কিছুক্ষণের মধ্যেই করিনা প্রকাশ করেন ‘করিনা কাপুর খানস্ প্রেগন্যান্সি বাইবেল’। তাঁর প্রথম বই। যে বইকে তিনি ‘তৃতীয় সন্তান’ আখ্যা দিয়েছেন। করিনা জানান, তাঁর মাতৃত্ব এবং এই বই লেখা, দুটোই জার্নি। ওই সময়ে কোনও দিন তিনি কাজ করতে পেরেছেন, কোনওদিন বা বিছানা ছেড়ে উঠতে পারেননি। সন্তানকে গর্ভে ধারণ করার সময় শারীরিক এবং মানসিক যে অবস্থার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন, এ বইয়ে রয়েছে সেই খতিয়ান। করিনার কথায়, “অনেক দিক থেকে এই বই আমার তৃতীয় সন্তান…। উত্তেজনাও হচ্ছে আবার আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে গিয়ে নার্ভাসও লাগছে…।”
দ্বিতীয় বার মাতৃত্বের আভাস পাওয়ার পরই এ বই লিখতে শুরু করেছিলেন অভিনেত্রী। এই বই ২০২১-এই প্রকাশ করার কথা কয়েক মাস আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন। তখন করিনা লেখেন, ‘যাঁরা মা হতে চলেছেন, তাঁদের জন্য আসছে আমার বই করিনা কপূর খানস্ প্রেগন্যান্সি বাইবেল। মর্নিং সিকনেস হোক, ডায়েট বা ফিটনেস- মাতৃত্বের সময় কোন অনুভূতি হয়, কী কী ইচ্ছে করে সব কিছু নিয়ে কথা বলেছি আমি। আপনারা কবে পড়বেন, সেই অপেক্ষায় রয়েছি।’
সন্তান গর্ভে আসার পরই যে কোনও মেয়ের শারীরিক এবং মানসিক কিছু পরিবর্তন আসে। সেই পরিবর্তন নিজের জীবনে কীভাবে সামলেছেন করিনা, সে সবই এই বইয়ের মাধ্যমে শেয়ার করেছেন তিনি। হবু মায়ের কেমন ডায়েট প্রয়োজন, কতটা ওয়ার্কআউট আসন্ন সন্তানের জন্য ভাল, সে সব সাজেশনও দিয়েছেন তিনি।
করিনার কথায়, “প্রেগন্যান্সি খুব স্বাভাবিক একটা পদ্ধতি। এই সময়টা সুস্থ থাকা এবং আনন্দে থাকা প্রয়োজন। সব রকম কাজ আপনি করতে পারেন। নিজেকে সচল রাখুন। আমি কীভাবে আমার গর্ভাবস্থা সামলেছি, সেটা এই বইতে শেয়ার করেছি। এর মাধ্যমে হবু মায়েরা নিজেদের গর্ভাবস্থার সঙ্গে কোনও মিল পেতে পারেন। এই বিষয়টাই আমার খুব ভাল লেগেছে। যাঁরা মা হতে চলেছেন, তাঁদের এই বইটা দিশা দেখাবে বলে আমার বিশ্বাস।”
আরও পড়ুন, সম্প্রচারের সময় বদলাচ্ছে ‘ফেলনা’র? সত্যিটা বললেন রোশনি