কিছুদিন আগে মুক্তি পেয়েছে করিনার প্রথম বই প্রেগন্যান্সি বাইবেল। যেখানে তিনি তার গর্ভাবস্থার প্রতিটি অধ্যায় এবং কীভাবে তিনি মাতৃত্বকে মেনে নিয়েছেন সে সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। তার গর্ভাবস্থা শহরের আলোচনায় পরিণত হয়েছিল। কারণ তিনি বেবি বাম্প নিয়ে চব্বিশ ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করছিলেন। ঠিক তৈমুরের জন্মের পরেও করিনা শীঘ্রই নিজের কাজ শুরু করেছিলেন।
বইটিতে একই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে, করিনা সেই সময়ের কথা স্মরণ করেন, যখন তৈমুরের জন্মের পরে তাঁকে কাজ করতে হয়েছিল। তিনি বলেন এটি তাঁর কাছে হৃদয় বিদারক ছিল। এমনকি তৈমুরকে পিছনে ফেলে রেখে এবং রাতের কাজে যাওয়ার কথা মনে পড়ে। তিনি বলেন যে তিনি মা হয়ে তাঁর শিশুকে বাড়িতে রেখে কাজ করার জন্য কষ্ট পেতেন। তারপর ১৫০জন ক্রুয়ের সদস্যের মধ্যে দেখাতে হত পেশাদারিত্ব। শুধু তৈমুরের সময়ে নয়, এমনকি এখনও তাঁর দ্বিতীয় পুত্র জেহর জন্মের পরেও অভিনেত্রী তাঁর ব্র্যান্ডগুলোকে দেওয়া প্রতিশ্রুতিতে ভোলেননি।
করিনা এও বলেন নিজেকে দোষী স্বাভাবিক। তিনি জানিয়েছিলেন যে তৈমুর আজও তাঁকে কম ভালবাসে না। কারণ তাঁর জন্মের পরপর অভিনেত্রী তাঁর নিজের জীবন ফিরে পেয়েছিলেন, এবং জেহও এটা করবে না। মাতৃত্ব অনেক এক্সপেকটেশনের সঙ্গে আসে এবং অনেক মানুষ অত্যধিক পরামর্শ দেয়, কিন্তু কিছু অভিজ্ঞ মানুষের সঙ্গে এই সম্পর্কে কথা বলা ভাল বলে মনে করেন করিনা।
করিনা আরও জানান যে এখন দুটি সন্তান নিয়েও, এমন কিছুই নেই যা তিনি করতে পারেন না। তিনি কাজ করতে বেরোবেন এবং শহরের সেরা মাও হয়ে উঠবেন।
আরও পড়ুন ‘কিশোরীর মতো প্রাণশক্তি ছিল ওঁর, সেটে রোজ হোমওয়ার্ক করে আসতেন সুরেখাজি’