সে অনেক আগের কথা। সাদা কালো ছবি। ফ্রেমে রয়েছেন দুই সেলেব বোন। চোখ সোজা ক্যামেরায়। দুই বোন অর্থাৎ করিশ্মা কাপুর এবং করিনা কাপুর খান। সদ্য সোশ্যাল ওয়ালে এই পুরনো ছবি শেয়ার করেছেন করিশ্মা।
ছবির ক্যাপশনে করিশ্মা লিখেছেন, ‘এই স্মৃতির জন্য ধন্যবাদ সইফু। এটা শেয়ার করার জন্য আর অপেক্ষা করতে পারছিলাম না। দারুণ এটা।’ এখন প্রশ্ন হল, কাকে ‘সইফু’ বলে ডাকেন করিশ্মা? না! এই পোস্টে তা স্পষ্ট করেননি অভিনেত্রী। এই পুরনো ছবি কে তাঁকে দিল, তাও স্পষ্ট নয়। দর্শকের বড় অংশ মনে করছেন, হয়তো সইফ আলি খানকেই এই নামে ডাকেন তিনি। তবে এ বিষয়ে করিশ্মা নিজে কিছু জানাননি।
অন্যদিকে আজ শুক্রবার সপরিবারে গণেশ পুজোয় মাতলেন করিনা। দুই ছেলে ও স্বামী সইফকে নিয়ে গণপতির কাছে জানালেন মনের কথা, করলেন প্রার্থনা। করিনার দ্বিতীয় সন্তান জাহাঙ্গীরের এটি প্রথম গণেশ পুজো, অন্যদিকে জন্মের পর থেকেই পরিবারের সঙ্গে গণেশ ঠাকুরকে নিজের মতো করে ভালবেসেছে তৈমুর। গতবারও বিশেষ ভাবে গণেশ মূর্তি তৈরি করেছিল সে। এবার তুলে নিল কাদামাটি। কাদামাটি দিয়েই নিজের মতো করে নিজের হাতে গণেশ ঠাকুর গড়ল সে। সেই ঠাকুর বাহারি রঙের। তৈমুরের বানানো ঠাকুরের ছবি শেয়ার করেছেন মা করিনা। আরও বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে সাবেকি পোশাকে সেজে বাবা ছেলে ও মা করজোড়ে প্রার্থনা জানাচ্ছেন ঠাকুরের কাছে। সামনে জ্বলছে প্রদীপ আর ধূপ। রয়েছে পুজোর নানাবিধ উপকরণ। জেহ’র ছবি যদিও শেয়ার করেননি করিনা। তবে সঙ্গী যে সেও সে আন্দাজ করাই যায়।
দিন কয়েক আগেই দুই ছেলের নাম নিয়ে যে বিতর্ক চলছে তা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন করিনা। ইতিহাস বলছে, নুরুউদ্দিন মহম্মদ সেলিম বা জাহাঙ্গীর ছিলেন মুঘল সাম্রাজ্যের চতুর্থ সম্রাট। তিনি ১৬০৫ সাল থেকে তার মৃত্যু অবধি ১৬২৭ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেন। এর আগে প্রথম সন্তানের নাম তৈমুর রাখা নিয়ে সমালোচিত হয়েছিল কাপুর ও খান পরিবার। অত্যাচারী শাসক তৈমুরের নামে কী করে ছেলের নামকরণ হতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। জাহাঙ্গীরের বেলাতেও অন্যথা হয়নি। করিনার কথায়, “আর কোনও উপায় নেই। আমায় ধ্যান করতে হবে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। একটি মুদ্রায় দুটি পিঠ। পজেটিভ-নেগেটিভ। এই দুই নিষ্পাপ শিশুকে নিয়ে কথা হচ্ছে। তবে হ্যাঁ আমি খুশি থাকব ও একই সঙ্গে পজেটিভ থাকব।”
করিনা জানিয়েছেন, সন্তানদের সব বিষয়ে তিনি নাক গলাতে পছন্দ করেন না। সন্তানরা যেন নিজের ভুল থেকেই শিক্ষা লাভ করে। বলেন, “আমার মা কোনওদিনও কোনও কিছু আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়ায় বিশ্বাসী ছিলেন না। বলতেন, নিজেই নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নাও। কোনও ভুল হলে সেটা থেকেই শিক্ষা নাও। আমিও বিশ্বাস করি সেই পন্থায়। বিশ্বাস করি, নিজের ভুল থেকেই সবচেয়ে বড় শিক্ষা লাভ করা যায়। সেই কারণে দুই পুত্রকে সে ভাবেই প্রতিপালন করতে চাই। জে এখন অনেক ছোট। কিন্তু টিমের ব্যাপারে বলতে পারি, ও অনেক বেশি সজাগ। ওকে এখন থেকেই বলেছিল, ভুল করলে সেটা তোমাকেই শুধরে নিতে হবে। সেভাবেই শিক্ষা লাভ করা যায়।”
আরও পড়ুন, ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের মেকআপ রুমে গণেশ পুজোয় আয়োজন
আরও পড়ুন, World Suicide Prevention Day: প্রতি ৪০ সেকেন্ডে আত্মহত্যা একজনের, রোধের উপায় কী-কী?