কেরিয়ারের শুরু থেকেই কার্তিক আরিয়ানকে ঘিরে নানা রকমের জল্পনা বর্তমান। তবে বলিউডে পায়ের তলার মাটি শক্ত করার জন্য লড়াই কখনওই থামাননি তিনি। পেয়ার কা পাঞ্চ নামা ছবি দিয়ে সকলে নজর কেড়েছিলেন এই সেলেব। তারপর থেকেই শুরু হয় টিকে থাকার লড়াই। বেশ কিছু ছবি হাতে আসলেও অধিকাংশ থেকেই একটা সময় বাদ পড়তে থাকেন তিনি। করণ জোহরের সঙ্গে বচসা কিংবা সলমন খানের সঙ্গে দূরত্ব বারা সবটাই তার কেরিয়ারে বড়সড় কোপ বসিয়ে চলেছিল। তবুও পথ চলা থামাননি তিনি। যে ছবি পেয়েছেন হাতে তাতেই নিজের সেরাটুকু দেওয়ার চেষ্টা করেছেন কার্তিক আরিয়ান। তবে এ-লিস্টেড অভিনেতা হতে গেলে যা-যা প্রয়োজন তার কোথাও যেন থেকে যাচ্ছিল খামতি।
ফলে সকলের নজরে এসেও যেন বিটাউনে নিজের জায়গাটা ধরে রাখতে পারছিলেন না তিনি। একটা সময় বলিউড থেকে যখন তার বয়কটের ডাক ওঠে তখন, কঙ্গনা অনুবাদ তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছিলেন, কার্তিককে সুশান্তের পথে আর ঠেলে দিও না। যদিও লাভের লাভ সেভাবে কিছু করে উঠতে পারেনি সমালোচকরা। কার্তিকের ঘুরে দাঁড়াতে খুব বেশিদিন সময় লাগেনি।
হাতে এসেছে একের পর এক ছবি। তবে এবার যা ঘটলো তা দেখে আবার ট্রোলাররা শুরু করল নতুন সমালোচনা। একের পর এক রিমেক ছবিতে ডাক পড়ছে কার্তিক আরিয়ানের, অক্ষয় কুমারের হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে বাঘা বাঘা ছবির সিকুয়েল। অধিকাংশ ছবিতেই নিজের জায়গা পাকা করে ফেলছেন কার্তিক আরিয়ান। এই অবস্থাতেও চুপ থাকলো না নেটপাড়া। তাদের বক্তব্য কার্তিক আরিয়ান এখন রিপ্লেসটার। কারুর বদল ঘটিয়ে সেই জায়গায় কার্তিককে কাজ দেওয়া হচ্ছে।। যদিও ট্রোলিং নিয়ে খুব একটা মন্তব্য অতীতে করেননি কার্তিক তবে এবার আর মুখ বুজে থাকলেন না। জানালেন একটা বেশি সময় ছিল যখন তিনি এই বিষয়গুলোকে এড়িয়ে চলতে পারতেন না। বর্তমানে তিনি বুঝে গেছেন তাকে এড়িয়ে চলা একপ্রকার অসম্ভব। তাই এই ধরনের মন্তব্য তিনি আর গায়ে মাখেন না।