Ruchir Modi: সুস্মিতার পরিবারের পর, এবার ললিত মোদীর পরিবার থেকে মুখ খুললেন ছেলে রুচির
Ruchir Modi: রুচির ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ক্যান্সারে তাঁর মা মিনালকে হারিয়েছেন। ললিত তখন তাঁর স্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে একটি পোস্টও করেছিলেন, যিনি তাঁর থেকে ১০ বছরের বড় ছিলেন।
বৃহস্পতিবার ললিত মোদী আচমকা তাঁর এবং সুস্মিতা সেনের সম্পর্ক নিয়ে একটি টুইট করেন। যেখানে তিনি জানান, পরিবারের সঙ্গে ঘুরে এলেন, নতুন জীবন শুরু করেছেন তাঁর ‘বেটার হাফ’-এর সঙ্গে। এই পোস্ট দেখার পর থেকেই মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়াগুলো যেন একটি ঘোরের মধ্যে চলে যায়। সকলেই সুস্মিতার পরিবারের কাছে বিষয়ের সত্যতা সম্পর্কে জানতে চায়। কিন্তু তাঁর পরিবারের কাছে এই বিষয়ে কোনও খবর বলেই দাবি জানান ভাই রাজীব এবং বাবা সুবীর সেন। অন্যদিকে ললিতের স্ত্রী প্রয়াত। তাঁর দুই সন্তান রুচির মোদী (২৮)(Ruchir Modi) এবং আলিয়া(২৯)। মেয়ে আলিয়ার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছেলে রুচির অবিবাহিত। ছেলে বাবার সঙ্গে লন্ডনেই থাকেন। বাবা এবং প্রাক্তন বিশ্বসুন্দিরীর ডেটিং বিষয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে দেখা যায় তিনি বিষয়টি নিয়ে সম্পূর্ণ উদাসীন।
“আমি ব্যক্তিগত পারিবারিক বিষয়ে মন্তব্য করা পছন্দ করি না। তবে ব্যবসা বা অন্যান্য বিষয়ে মন্তব্য করতে সর্বদা খুশি হব,” ললিতের ছেলে রুচির মোদি ইটাইমসকে এই কথা বলেছেন বলে দাবি। তাঁর মতে তাঁদের পরিবার প্রাক্তন মিস ইউনিভার্সের সঙ্গে প্রাক্তন আইপিএল চেয়ারম্যানের সম্পর্কের বিষয়ে জানতেন। কিন্তু তাঁরা পরিবারের অন্য সদস্যদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে না, এমনটাই নাকি তাদের নীতি। “আমি একেবারেই এমন বিষয়ে মন্তব্য করা পছন্দ করি না। এই ব্যাপারে খুব সৎ, কারণ আমাদের পারিবারিক নীতি হিসেবে কেউ কারও ব্যক্তিগত বিষয়ে মন্তব্য করি না,” বক্তব্য রুচির।
ললিতের প্রথম পোস্টটি সর্বত্র একটা উন্মাদনা ছড়িয়ে দিয়েছে। তাতে লেখা ছিল, “পরিবারের সঙ্গে গ্লোবাল ট্যুর করার #মালদ্বীপ #সারডিনিয়ার পর লন্ডনে ফিরে এসেছি — আমার #বেটারহাফ @সুস্মিতাসেন৪৭-এর কথা না বললেই নয় — অবশেষে একটি নতুন জীবনের শুরু। যেন চাঁদের উপরে রয়েছি।” তারপরে অবশ্য দ্বিতীয় পোস্টে তিনি স্পষ্ট করে দেন যে দুজন বিবাহিত নন। শুধু ডেটিং করছেন। তবে নিশ্চিত করেছেন বিয়ে নাকি অনিবার্য।
প্রথমে বাবার এই বিষয়ে মন্তব্য করতে না চাইলেও খুব জোর দেওয়ায় রুচির, যিনি তাঁর বাবার মতো ‘ফায়ারব্র্যান্ড’, কিন্তু অনেক কম আবেগপ্রবণ এবং অনেক বেশি গণনামূলক, অনিচ্ছা সত্ত্বেও একটি মতামত দেন। “এটি তাঁর জীবন এবং তাঁর সিদ্ধান্ত,” বলেছেন তিনি। রুচির ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ক্যান্সারে তাঁর মা মিনালকে হারিয়েছেন। ললিত তখন তাঁর স্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে একটি পোস্টও করেছিলেন, যিনি তাঁর থেকে ১০ বছরের বড় ছিলেন। মোদীরা একটি ঘনিষ্ঠ পরিবার ছিল এবং রুচিরের হোয়াটসঅ্যাপ ডিপিতে তাঁর মায়ের সঙ্গে একটি ছবি রয়েছে। “আমি প্রতিদিন তাঁকে মিস করি,” মন্তব্য তাঁর।
লন্ডন থেকে ম্যানেজমেন্ট স্নাতক রুচির ২০১০ সালে তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে যুক্তরাজ্যে চলে যাওয়ার আগে মুম্বাইয়ের আমেরিকান স্কুলে পড়াশোনা করেন। ললিতের ভাই সমীর মোদীর সঙ্গে বাবা এবং ছেলে সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদে জড়িত। সমাধানের ব্যর্থ চেষ্টার পর মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে গেছে। “পারিবারিক বিরোধটি দুর্ভাগ্যজনক এবং আমি আশা করি ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে। সেই বিষয়ে পূর্ণ আস্থা রাখি, যেভাবে ব্যবসাগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে তা দুর্ভাগ্যজনক,” দাবি রুচির। ব্যবসায়ী পরিবারে ছেলে তিনি। বিভিন্ন উদ্যোগে বিনিয়োগও করেন যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপে। লন্ডনে থাকলেও তিনি প্রায়শই মুম্বই যাতায়াত করতেন, কিন্তু মহামারী পর থেকে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।