কমছে মান অভিমানের পালা। পুরোনো সকল সমস্যা বিবাদ মিটিয়ে এখন মালাইকা আরোরা ও আরবাজ খান বেশ কাছাকাছি। যদিও এরই মাঝে মালাইকা ও আরবাজের জীবনে আসে সম্পর্কের হাতছানি। বিদেশিনী মডেল জর্জিয়া আন্দ্রিয়ানির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান আরবাজ খান। অন্যদিকে মালাইকার জীবনে আসেন অর্জুন কাপুর। তবে মাঝে শোনা গিয়েছিল আরবাজের নাকি প্রেম ভেঙেছে। সেই প্রসঙ্গেও মুখ খুলতে দেখা যায় প্রাক্তন স্ত্রী মালাইকা অরোরাকে। মালাইকরার চ্যাট শো-য়ে আমন্ত্রিত হয়ে এসেছিলেন করণ জোহর। সেখানেই তিনি মালাইকাকে প্রশ্ন করেছিলেন, “এই যে আরবাজের ব্রেকআপ হল, তুমি কি ওর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলে?” উত্তরে মালাইকা বলেছিলেন, “সত্যি কথা বলতে গিয়ে আমি জিজ্ঞাসা করি না। আমি আমার ছেলেকেও এই নিয়ে কোনও প্রশ্ন করি না। আমার মনে হয় কখনওই সীমা লঙ্ঘন করা উচিৎ নয়। আমার একদম পছন্দ নয়। আর যদি আমি আরবাজকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতাম, তবে হয়তো আমি আমার সীমা অতিক্রম করে ফেলতাম বলেই আমার মনে হয়।”
শুধু তাই নয়, ছেলের সূত্রে তাঁদের একে অপরের সঙ্গে দেখা হয় মাঝে মধ্যেই। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টা আরও স্পষ্ট করে দেন আরবাজ খান। তাঁর কথায়, এখন তিনি ও মালাইকা একসঙ্গেই রয়েছেন। না,সেখানে পুরোনো সম্পর্কের কোনও ছাপ নেই, তাঁর কথায়, বর্তমানে তাঁরা একসঙ্গেই আছেন কারণ তাঁদের সন্তান। সম্পর্ক জোড়া লাগার কথা নয়, সন্তানদের মুখ চেয়েই এখন তাঁরা একে অপরের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখছেন মাত্র। তবে অভিমানের পালা যে শেষ, তা স্পষ্ট হয়ে যায় এদিন আরবাজের কথায়।
তবে একটা সময় চরম অভিমান ও সম্পর্কে স্বচ্ছতার অভাবেই একে অন্যের পাশ থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ডিভোর্সের সময় নানা জনের নানা মত, তবে সে সব কথায় কান দেওয়ার পাত্রী নন মালাইকা। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ডিভোর্স প্রসঙ্গে একটি ঘটনা শেয়ার করেন মালাইকা। জানান, তাঁর যখন বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছিল, তখন অনেকেই তাঁকে উপদেশ দিয়েছিলেন, তিনি যেন খান পদবীটি না ছাড়েন। অর্থাৎ আরবাজের পবদী যেন ব্যবহার করেন। কারণ এই পদবীর বিশাল মূল্য। কাজ পেতে সুবিধে হবে। কিন্তু তখন মালাইকার মনে হয়েছিল বিচ্ছেদের পর বিবাহিত পদবী ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ তাঁকে প্রতিটা দিন নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। অথচ মনে মনে এটাই মাথায় ঘুরবে যে এই পদবীর জন্যই কাজ পাচ্ছেন তিনি।